গৃহস্থের মুখগুলি একে একে স্পষ্ট হয়। মায়াবী বৃত্তে ঘুরে ফিরে প্রাণ প্রান্তরের
গোধূলিতে দাঁড়ায়। এই শতকের আশা-আকাঙ্ক্ষা, স্মৃতি-বিস্মৃতি―অমোঘ প্রহরে
আমাকে ছুঁয়ে ছিল। সীমার বাইরে অন্ধকার ছিল দুর্বোধ্য শূন্যতায় পুর্ণ―তবুও তার
উদাসীনতা আমাকে মুগ্ধ করেছিল। পৃথিবীর পথ-মাঠ শেষ হয়―উৎসও প্রয়াত
হয়। আঁধারে আলোর চাবি খুঁজতে খুঁজতে আমি রাখাল বালক, শিখে নিয়েছিলাম
পৃথিবীর প্রাচীন হরফ। নদীর বুকে আকাশ―অরণ্যের অন্ধকার, পাতালের উত্তাপ―
সকলেই ছিল আমার ভিতর―যেন দিগন্তরেখার এপার ওপার। সুদূরের সেই সব
সন্ধ্যায় প্রকৃতি বহুবার স্তব্ধ করেছিল আমাকে। সেদিন ধূ-ধূ মাঠে ছিল
অস্তিত্বের-অনস্তিত্বের চেতনা, শূন্যতা― ঠিক শূন্য নয়, বিচ্ছিন্ন উল্কার মাঝপথে
ছাই হয়ে যাওয়া।
প্রখর ব্যর্থতাকে পিছনে ফেলে শালিক, চড়ুই, চৈত্রের হওয়া, গৃহস্থের বিষণ্ন ও
দীর্ঘ দুপুর আমার ভিতর নিবিড় ঐকতানে আবদ্ধ, যদিও একদিন সমাজবিহীন জরায়ুর
অন্ধকারে আমার অণুজীবন ব্রহ্মান্ডের সকল স্বাদ, রূপ পেয়েছিল―
তারপর বহুবার রহস্যময় ঘুম থেকে জেগে উঠে, পৃথিবী নিজেকে অনুভব করেছে
আদিম গহ্বরে।মৃত ও মৃত্যু কোন কিছুই প্রার্থনার অন্তর্গত নয় আর, উৎসের কাছে
নিজেকে সমর্পণ করে প্রান্তরের গোধূলিতে দাঁড়াই―অতিদূর, অসীম থেকে হাঁটু
গেড়ে প্রণাম জানাই নিজের ভিতর নিজেকে...
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem