জীবনের অজস্র কথা জীবন থেকে পাড়ি দেয় দ্বীপান্তরে।তাদের পদশব্দ, প্রতিধ্বনি
মধ্যরাতে শুনতে পাই।তাদের পথচলতি ধুলো-বালি আমাকে স্পর্শ করে।জলের
ভিতর দিয়ে কান্নার অস্ফুট শব্দ হৃৎপিণ্ড ছুঁয়ে যায়।অনেক না-পাওয়া নির্জনে দাঁড়িয়ে
থাকে আর আমি দাঁড়াবো স্নিগ্ধ মুহূর্তগুলোর স্তূপে।নাভিমূল দেখছি―মাতৃজঠরের
ইতিহাস আমাকে দগ্ধ করে।
মাথার উপর থমথমে আকাশ―রক্তচ্ছ্বাস আর কতকাল! বহুকাল নিজের
ছায়ার পাশে হাঁটছি― রাতের নদীতে নিরন্তর ভেসে যাই, এবার ভোরের
সূর্যে-গোধূলিতে তুমি এসো― এই রিক্ত পথের পর আমাদের গ্রাম― দীর্ঘদেহী
শালতরুদের তলে― পুকুরে অনেক পদ্ম তাদের পাপড়ি মেলে দিয়েছে তোমাকে
পাওয়ার জন্য― মিছিলের ঢেউয়ে মুছে যাবে আমাদের দুঃখ-তমিস্রার স্রোত।মিছিল
ভাঙ্গলে প্রতিধ্বনি দ্বিগুণ হয়―রক্তপাত বন্ধ হয়―শিরায় শিরায় তোমাকে পাবার
তীব্র স্পৃহায় কুমারী পৃথিবীর সঙ্গে আবার ঘর বাঁধবো―পলাশের রাঙাডাঙ্গায়,
মহুয়ার জঙ্গলে তোমার প্রশ্রয়ে ছড়িয়ে দেবো বীজ― আমাকে অধিকার কর সমগ্রের
একাগ্রতায়― জাগাও দীপ্ত স্তোত্রে এনে দাও আশ্চর্য সন্ধ্যা― বুড়ো বটতলে তোমাকে
শোনাবো গো-রাখালের বাঁশি।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem