জোয়ান অব আর্কের শরীরে আগুনের লকলকে শিখার ছোবল কতটা কষ্টদায়ক ছিল জানিনা,
কোমল পায়ের মসৃণ আবরণ হয়ে ভুবুক্ষ আগ্নি দেবতা ধীরে ধীরে উঠে গেছে কোমর ছুঁয়ে,
তরুণী বক্ষ ঝলসে দিয়ে, মোলায়েম দু বাহু হয়ে, অবিন্ন্যাস্ত চুলে তারা বাজির ফুল্কির মতো,
ধীরে ধসিয়ে শারীরিক কাঠামো, মাংসের গভিরে যুবতী হাড়ের লোভনীয় মজ্জা গলিয়ে,
লকলক করে গ্রাস করে নিয়েছে, নিজের করে নিয়েছে অগ্নি দেবতা জোয়ান অব আর্ককে ।
আগুন লাগানো হয়েছে পায়ের নিচে, শক্ত করে কাঠের সাথে বাঁধা শরীর,
নজর যায়না তবুও জোয়ান দেখতে পায়, অনুভব করতে পারে উত্তাপ, ঘিরে থাকা লোকের মিছিল,
অনুভূতিহীন, না ঘৃণা ভরা আছে সেই চেহারা গুলোর চোখের পটে, শ্লেষ ঠোঁটের কোনে ।
আগুন ধরল শিরদাঁড়া ছুঁয়ে পুঁতে রাখা কাঠে, শিরদাঁড়া শিহরণ পেল, পায়ের তলে ভয়ঙ্কর উত্তাপ,
চামড়া পোড়া গন্ধ উঠলো বাতাসে, হাত পা মাথা মিছুই আর শান্ত রাখা যাচ্ছেনা, শরীর বেঁকে যাচ্ছে,
কুঁকড়ে যেতে চাচ্ছে, পারছেনা শক্ত বাঁধনের জন্যে, তাই সেই ব্যাথার তীব্রতা মস্তিষ্কে হুল ফোটাচ্ছে,
রক্তের সাথে আগুনের ছোঁয়ায় ছাঁৎ ছাঁৎ করছে, ধরে আনার সময় এসব ভাবেনি জোয়ান,
ফরাসী চেতনা, পবিত্র রোমান সাম্রাজ্য, যুদ্ধের ময়দানে ইংরেজ বধ তখনো হৃদয়ের সচেতন,
চার্লস ফাইব কে সে কোথাও দেখতে পায়নি আসার পথে বা ওই লোকেদের ভিড়ে,
১৯ বসন্তেরএই অন্তিম ক্ষণে, যার জন্যে নিজেকে উৎসর্গ করেছিল, অলৌকিক ঈশ্বরীয় আদেশে।
ফ্রকের ঝুলে আগুন, পশমে আগুন, চামড়ায়, উরুর খাবলায় আগুন, চেতনা ফিকে, শরীর নির্ভার।
১৪৩০ অক্ষমতার গ্লানি নিয়ে বিদেয় হয়েছে, আরও অনেক বছর কতকিছু দেখে চলে গেছে,
১৪৫৫ সাল, ২৫ বছর পেরিয়ে, পোপ নিয়ে এলেন নতুন বার্তা, জোয়ান শহীদের তালিকায় যাবে ।
শহীদের তালিকায় কিভাবে যেন আগুন লেগে গেছে, পোড়া গন্ধ নিয়ে আকাশ ছুঁতে যাচ্ছে ধোঁয়া।
p。s。10012014
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem