প্রথম প্রেম ছিল ঈশ্বরের সাথে!
অনেককাল আগের কথা,
ঈশ্বরের বাণী, আমাকে প্রেম শিখিয়েছিল।
শিখিয়েছিল ভালবাসতে -
এবং তাতে কোন খাদ ছিল না।
আচমকা কতগুলো ছাপার অক্ষর
আমার চিন্তা ভাবনায় ঝড় তুলে
ঈশ্বরের সানিধ্য ছাড়ালো
আমাদের ছাড়াছাড়িটা হয়ে গেল খুব দ্রুত
যেমন প্রেমটাও হয়েছিল এক তরফা তেমনি
দ্বিতীয় পক্ষের কোন হাত ছিল না এই বিচ্ছেদে।
ছাপা অক্ষরের শক্ত লিখনীর
গাথুনী খুলে খুলে ভালবাসাকে উপলদ্ধি করছি
যাই বল না কেন
সবই ওই ছাপার অক্ষরের পাতাকে ঘিরে।
আমার সেই শুদ্ধ, নির্মল ভালবাসায়
ভাগ বসাতে, আমার প্রেম কে অপবিত্র করতে
পরকীয়ায় বাধ্য করল কতগুলো সিগারেট।
প্রেমের শর্ত ভঙ্গ করার দায়ে
প্রেমের দেবী
গতানুগতিক জীবনের স্রোতে ভাসিয়ে দিল।
বিপরীত লিঙ্গের প্রতি সহজাত ভালবাসার
আবিস্কার হল শরীরে।
কত শত মহাভারত
লেখা হল, কত যোগী তার তপস্যা ছাড়ল
কত রোম জ্বললো, পুড়লো
তার হিসাব রাখার সময় হলো না।
একের পর এক রাজ্য জয় করে
উদভ্রান্ত নেশায় ছুটে বেড়াচ্ছি শেষ দেখতে।
সেই প্রেম এ আনন্দ ছিল, গন্ধ ছিল
নিষিদ্ধতার। ছিল না শুধু স্থিরতার খোজঁ।
স্থিরতা খুজঁতে খুজঁতে
তন্ন তন্ন করে খুজেঁ পেলাম
নিরন্ন মানুষের আশ্রয় আর অধিকার আদায়ের সংগ্রাম
আমাকে গুয়েতেনামো কারাগারের পলাতক ব ন্দীর মত
তাড়িয়ে বেড়াতে লাগল পৃথিবীময়।
শ্রেনীহীন সমাজের স্বপ্ন আমায় আবার প্রেমের সংজ্ঞা শেখালো
ভালবাসার মন্ত্র শেখালো।
এরপর একদিন সব গতানুগতিক।
সকল প্রেম ভালবাসার মন্ত্র নিজের টিকে
থাকার লড়াই এর কাছে পরাজীত।
শুধু আর দশটা ছাপোষা মানুষের মত
অস্থি, মজ্জা ভেদ করে এক সৃষ্টির আগমন
ঘটল এই পৃথিবীতে।
যার নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য
নতুন এক প্রেমের মন্ত্র আবার আমায় ডাকছে।
আমি কি সাড়া দেব?
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem