একি অধঃপতন আমার উজ্জ্বল জীবন সূর্যের!
এ মোড়ে ও মোড়ে আলো চুষে চুষে বেঁচে থাকার উচ্ছ্বাসে,
আজ একি পতন নিজের আলোয় আলকিত আমার জীবন সূর্যের!
তবে কি ভ্রম ছিল, নাকি আমিই ছিলাম না আমার ভেতর!
কদাচিৎ জ্বলা তারা গুলো, অথবা কখনো না জ্বলা নক্ষত্র গুলো,
আজ আমায় জিহ্বা ভেংচিয়ে বলে, তুই ঘাস খা, তুই মরে যা ।
একি অধঃপতন আমার কবিত্বের, আমার দর্শনের, আমার প্রাচুর্যের!
ললনারা আজ স্বপ্নেও আর আসে না, বাবা মা ছাড়া কেউ আমাকে ভালো করে চিনতেও পারেনা ।
তবে কি সব শেষ? খেল খতম, পয়সা হজম?
এমন তো হবার কথা ছিলনা!
কথা ছিল রৌদ্রকে গোলাম বানিয়ে শীত কালে ওম নেব,
কথা ছিল চাঁদকে নিজস্ব প্রমোদ তরীর ছাদে লটকে নৌ ভ্রমনে যাবো ।
কথা ছিল প্রেমিকার আঁচলে চুমকির বদলে তারা দিয়ে নকশা করে দেব।
কথা ছিল মিশরের পিরামিডে দেয়াল পত্রিকা ঝুলিয়ে দেব বাংলা কবিতার,
কথা ছিল প্যারিসের রাস্তায় প্রাতঃ ভ্রমন সেরে ফিরে এসে জল খাবারে পরোটা খাবো ।
কথা ছিল বন্ধুদের নিয়ে ক্যারিবিয়ান দ্বীপে আদিম নাচ নাচবো ।
কথা ছিল ব্রড ওয়েতে সপ্তা জুড়ে বেহুলার সাখ্য দেখে উল্লাশে মাতব ।
পাখীদের বলব আমার ঘুম ভাঙ্গাবিনা, সূর্যকে বলব দেরি করে ওঠো ।
কথা ছিল শ্রাবনের বেলায় মেঘের ভেলায় ভেলায় হবে কবিতা সন্মেলন,
কথা ছিল বাংলাদেশের নাম নিয়ে জি ৮ এর সভায় যোগ দেব স্যুট টাই লাগিয়ে,
কথা ছিল আবিষ্কার করব বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনের ফর্মুলা,
কত কিছু কথা ছিল, কথা হয়ে থেকে যাবে চিরকাল ভাবিনি কখনো ।
একি অসহায় নির্লজ্জ মৃত্যু আমার আমিত্মের, এ কি ভীষণ পরাজয়!
পাঁথরে পাঁথর ঠুকে আগুন জালালাম, সেই আগুনে পুড়ে গেল আমার অস্তিত্ব,
বাহারি পোশাকে ঢাকলাম শরির, লজ্জার আবরণ হলনা সে পোশাক,
ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন শেষে ঘুম ভাংবে যদি কোনও দিন, সে ঘুম আজকে ভাঙে না কেন!
মাস্তুল মড় মড় করে ওঠে, পানি উঠে গেছে ডেকে, ডুবে যাচ্ছি আমি ও আমার তরী ।।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem