নাম নেই
অনন্তসিদ্ধার্থ
বৃষ্টি ঝরছে অঝোর ধারায়.........
ভালবাসতে ইচ্ছে করছে তোকে.........
ভালোবাসা কিনা ঠিক জানি না.........
ল্যাপিতে তোর ছবিটা জুম করছি
পাওয়া যাচ্ছেনা কোনও উন্মুক্ত স্থান,
একটা মাদকতা প্রায়ই ধাওয়া করে,
যখন তুই কাছে বসিস......
আমি দেখছিলাম............
তোর কোমরের নিচের সব আভরন সরে যাচ্ছে
ক্রমে ক্রমে ফুটছে ফুল...যেন স্থল পদ্মের পাপড়ি,
ঈষৎ তাম্রাভ ঢেউ খেলানো......
আমার হৃদকম্পটা বেড়েই চলছে,
হঠাৎ আবার নিজেকে সরিয়ে আনি
তোর কোন এক প্রশ্নে............
এখন ল্যাপিতে তোর ছবি
মনের হাজার বাধা ঠেলে আমার কল্পনায়
তুই স্বর্গ থেকে নামছিস – আদিম কৌমার্যরুপে...
তপ্ত কাঞ্চণে কামাগ্নির আভিসার নিয়ে...
তোর রক্তাভ মসৃণ ঠোঁটের ঝড়ে
আমার হৃদপিণ্ড নিয়মিত প্রবাহ ভুলে গেছে
মস্থিস্ক ভুলে গেছে সব বিধিনিষেধ
আমার ভেতরের মেকি সিংহটি জেগে উঠলো
শিরশিরিয়ে উঠলো প্রতিটি কোষ
যেন কোন সুপ্ত আগ্নেয়গিরি সবে জাগ্রত
মন্থন তৃষ্ণায় কাতর শৃঙরাজ
খুঁজছে কোন খরস্রোতার সঙ্গমস্থল
যেখানে সে গলিয়ে দিতে পারে তার শিখড়
লাভা উদ্গিরণে নিঃস গিরিরাজের উপর বর্ষিত হল
একরাশ বারিধারা - - শান্ত, অতল, গভীর
হঠাৎই চলে গেলো ল্যাপির ডিসপ্লেটা.........
ঠিক তোর মতো..................এভাবেই
তোদের প্রতিচ্ছবিতে বলি হচ্ছে
সম্ভাব্য কোঠি কোঠি প্রাণের স্পন্দন।।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem