"মানুষ জাত" আর "ভেঁড়ার দল"- এই দুইয়ের মধ্যে কোন তফাৎ নেই। তোমাদের আত্মসম্মানে লাগলো বুঝি? ভাবছো- অরুণ মাজী একটা অসভ্য ছুঁচোর বাচ্চা? বেশ, আমার যুক্তিকে তোমরা ভুল প্রমাণ করো, তাহলে তোমাদের বাড়িতে আমি, আজীবন চাকরগিরি করবো!
ভেঁড়ার দলকে দেখেছো? দেখেছো- একটা দুবলা পাতলা ছেলে, কেবল একটা কঞ্চি হাতে, কেমন দুশোটা ভেঁড়াকে একসাথে চমকে রাখে? ভেঁড়াগুলো একটু সাহস করলেই কিন্তু, তাদের ইচ্ছে মতো যে যেখানে চলে যেতে পারে। কিন্তু তারা যেতে পারে না। কেন?
মানুষের দলও ঠিক তাই। বিশ্বাস হয় না? তবে বাস্তবটা একটু খুঁড়ে দেখা যাক-
১. মাত্র কয়েক হাজার ইংরেজ, ভারতবর্ষের প্রায় একশো কোটি মানুষকে, দুশো বছর ধরে শাসন করেছে। এই একশো কোটি মানুষ, যদি কেবল তাদের নখ নিয়েও ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতো, তাহলে ব্রিটিশরা- কবেই টুকরো টুকরো হয়ে যেতো। তা কিন্তু ঘটে নি। কেন?
২. বেঁটে খাটো লালু প্রসাদ যাদব- সত্যিকারের একটা অশিক্ষিত বর্বর নির্বোধ মানুষ। সেই লোকটা, ১০ কোটি বিহারীকে দুই দশক ধরে শাসন করেছে। অথচ বিহারে বড় বড় পালোয়ান আছে, পন্ডিত আছে, বিজ্ঞানী আছে, শত শত IAS, IPS অফিসার আছে। তারা অনেকেই, দেহে আর মস্তিষ্কে, লালু প্রসাদের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। তবুও ১০ কোটি বিহারী লালু যাদবের পা আর পাছা চেঁটে গেছে। তা কি করে সম্ভব?
৩. আজকের পশ্চিমবঙ্গকে দেখো- লালু যাদবের বিহারের মতো, সেই একই অবস্থা। বাঙালীদের মধ্যেও অনেক শক্তিমান আছে, পন্ডিত আছে, তাত্ত্বিক আছে, ডাক্তার আছে। তবুও তারা অপেক্ষাকৃত মূর্খ গোঁয়ার এক মহিলার চাবুকের ভয়ে সিঁটিয়ে আছে। অথচ ৯ কোটি বাঙালি জোরে হেঁচে দিলে, মমতা ব্যানার্জীর গুন্ডাবাহিনী টুকরো টুকরো হয়ে যাবে। কিন্তু ৯ কোটি বাঙালী তা পারে না। কেন?
এবার তোমরা বলো- উপরোক্ত ভেঁড়ার দলের সঙ্গে, মানুষ জাতটার তফাৎ তবে কোথায়?
মানুষ জন্মগতভাবে দুর্বল আর অলস। মানুষ জন্মগত ভাবে দাসত্ব করতে ভালোবাসে। দাসত্ব মানুষের জিনের মধ্যে এমন করে মিশে আছে, যে তারা যদি হাভার্ড ইউনিভার্সিটি থেকেও শিক্ষা পায়, তবুও তাদের চাকরগিরির অভ্যাস দূর হয় না।
তোমার সকলেই জানো- রাহুল গান্ধীর মতো ইডিয়েট, ভারতবর্ষে আর একটাও নেই। তবুও সেই ইডিয়েটের গোলামি করার জন্য- লক্ষ লক্ষ হাভার্ড, স্ট্যানফোর্ড, MIT, IIT, IIM ইত্যাদি থেকে পাশ করা গ্রাডুয়েট সেজে গুঁজে রয়েছে। তারা মনে মনে জানে, রাহুল গান্ধী একটা নিকৃষ্ট ইডিয়েট। তবুও তারা রাহুল গান্ধীর চাকরগিরি করতে চায়। কেন? ভারতবর্ষের ১২০ কোটি মানুষ- প্রায় ৬০ বছর ধরে গান্ধী পরিবারের পূজা করে এসেছে। অথচ ১২০ কোটি ভারতীয় জানে- ভারত এক গণতন্ত্র। তবুও তারা, কোন জাদুবলে রাজতন্ত্রের দাসত্ব করেছে?
মানুষ কেবল দাসত্ব করতেই চায় না। মানুষ চায়- তার পশ্চাৎদেশে কেউ সজোরে লাথি মারুক। নিদেন পক্ষে একটা ব্যাঙাচি অন্তত লাথি মারুক। নইলে, কিভাবে তুমি ব্যাখ্যা করবে, পাঁচজন তালপাতার সিপাই- তোমার পাড়াতে এসে, তোমার পাড়ার দশ হাজার মানুষকে চমকে গেলো? পাঁচজন দুবলা পাতলা ছেলের ভয়ে, তোমরা দশহাজার মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত! ভাবা যায়? কি সাংঘাতিক ভদ্দরলোক তোমরা!
এতে আমি কি প্রমাণ করতে চাইছি? আমি প্রমাণ করতে চাইছি- তুমি মানুষের আবরণে ঢাকা বটে। আসলে তুমি কিন্তু, কৃমি বা কেঁচোর চেয়েও ঘৃণ্য একটা জীব। ২৫০ গ্রাম ওজনের লিকলিকে একটা সাপ, সে ফোঁস করতে পারে। অথচ ১০০ কেজি ওজনের নধরপুষ্ট দেহ তোমার। তুমি কিন্তু ফোঁস করতে পারো না। তুমি কি তাহলে প্রমাণ করো না- তুমি কৃমির চেয়েও ঘৃণ্য এক জীব?
গালি আমাকে দিতেই পারো। কিন্তু তোমাদের যদি হিম্মৎ থাকে, তো যুক্তি আর তথ্য সহকারে আমার যুক্তিকে খন্ডন করো।
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem