ডিগ্রীর উদ্দেশ্য অর্থ আর খ্যাতি উপার্জন করা।
কিন্তু শিক্ষার উদ্দেশ্য তা নয়। শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো স্বাধীনতা।
কোন স্বাধীনতা?
চিন্তার স্বাধীনতা, চেতনার স্বাধীনতা।
হাভার্ডে পড়াশুনা করেও
তুমি যদি সংস্কার আর বিশ্বাসের দাসত্ব করো
লোভ হিংসে অহং আর ভয়ের দাসত্ব করো;
তাহলে তুমি গন্ডমূর্খের চেয়েও গন্ডমূর্খ।
ডিগ্রিধারী ঝুড়ি ঝুড়ি দেখেছি,
কিন্তু আমি শিক্ষিত দেখতে পাই না।
স্বার্থের জন্য, অন্যায়কে অন্যায় বলতে যদি ভয় হয়
তবে সে কিসের শিক্ষা?
যে শিক্ষা মানুষকে দুর্বল, ভীরু কাপুরুষ হতে শেখায়
সে কিসের শিক্ষা?
যে শিক্ষা ইঁদুরছানাকে সিংহ শাবক বানায় না
সে কিসের শিক্ষা?
সেই সব ডিগ্রিধারীদের সাথে
আমার পাড়ার ঘুঁটে গুড়ানি বৃন্দাবনীর তবে তফাৎ কি?
বৃন্দাবনী তবুও রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলতে পারে-
"ঝাঁটা মারো, ঝাঁটা মারো রাজনীতির বাবুদের! "
কিন্তু দুর্ভাগ্যের ব্যাপার এই যে-
বড় বড় ডিগ্রিধারী কোর্ট টাই পরা বাবুরা
সেইটুকু করতেও, আন্ডারপ্যান্ট ভিজিয়ে ফেলে।
আজকের শিক্ষিত ভদ্র সমাজের চেয়ে
এতো নপুংসক, কাপুরুষ, উচ্ছিষ্টভোজী জীব
আমি কখনো দেখিনি।
ইঁদুর ছুঁচো কেঁচো টিকটিকিও
এদের হীনতা আর দীনতা দেখলে
লজ্জায় মুখ ঢাকবে।
শালাগুলো বেঁচে আছে কি করে?
এদের বৌগুলো কি, এদেরকে
পুরুষ বলে কখনো সন্মান করে?
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem