আমরা কত আহাম্মক, তাই না? জীবনে যা কিছু নির্মম সত্য, তাকেও আমরা মিথ্যে "ভদ্রতা" "শ্লীলতা" আর "পবিত্রতা" ইত্যাদি শব্দের আড়ালে চাপা দিতে চাই! ঘোমটার নীচে খ্যামটা নাচ নেচে নেচে জীবনটা দুর্বিষহ যন্ত্রণাময় হয়ে যাচ্ছে; তবুও আমরা আমাদের দ্বিচারিতা আর মিথ্যে মুখোশ থেকে বেরোতে কখনো পারি না।
আমাদের এই কাপুরুষতা আর নপুংসকতাকে, আমরা- সংস্কার, ধর্ম, ভদ্রতা, শ্লীলতা ইত্যাদি শব্দের আড়ালে ঢাকা দিতে চাই! পৃথিবীতে এমন মানুষ কি আছে যার মনে গোপন নিষিদ্ধ ইচ্ছে জাগে না? পৃথিবীতে এমন নর-নারী কি আছে, রাতের স্বপ্নে যে নিষিদ্ধ কিছু দেখে না?
মানুষ জাতিটা এখনো যে যন্ত্রণাকাতর হয়ে গলায় দড়ি দিয়ে সমবেত ভাবে আত্মহত্যা করে নি; তাও কিন্তু অনেকটাই আমাদের এই গোপন নিষিদ্ধ ইচ্ছে আর স্বপ্নের কল্যানে। গোপন নিষিদ্ধ ইচ্ছেগুলোই- মানুষের স্বাদহীন যন্ত্রণাকাতর জীবনকে একটু টক ঝাল মিষ্টি নোনতা করে তাকে গলাধঃকরণ উপযুক্ত করে।
পৃথিবীর যে কোন নর নারীর চিন্তা আর স্বপ্নের কাহিনীগুলোকে যদি কোন খাতার পাতায় লেখা যেত, তাহলে তা পৃথিবীর যে কোন "পর্ণগ্রাফি" অপেক্ষা আরও অনেক বেশি উত্তেজক আর রোমাঞ্চকর হতো!
তবুও আমরা ঘোমটার নীচে খ্যামটা নাচা বন্ধ করি কি? তবুও কি পন্ডিত আর ধর্মগুরুদের খ্যামটা নাচ কখনো বন্ধ হবে কি? মানুষ যতদিন না পর্য্যন্ত তার দ্বিচারিতা, কাপুরুষতা, নপুংসকতাকে জয় করতে পারবে; ততদিন তার উত্তরণ কখনো ঘটবে না। নপুংসক হয়ে যারা আপন ইচ্ছের সত্যতাকে স্বীকার করতে পারে না; তারা ঈশ্বর বা স্বর্গ লাভের স্বপ্ন দেখে কি করে? মারো শালাদেরকে মুড়ো ঝাঁটা!
© অরুণ মাজী
Painting: Christiane Vleugel
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem