চলো- দুজনের একহাতে, আমরা
দুঃখগুলোকে আঁকি।
কতকাল আর সুখের স্বপ্ন আঁকা মালবিকা?
স্বপ্ন বলে কি
ক্লান্তি তার হয় না?
পায়ের নিচে আড়িপাতা নদী
আর মাথার উপর ফক্কর আকাশ।
মাঝখানে যে নিদ্রাকাতর বালুকারাশি
সেখানে ক্রীড়ারত,
অষ্টাদশী এক কুসুমের অর্দ্ধ-আবৃত স্তনদেশ।
তুমিই বলো
যৌবন ভারে ন্যুব্জ যে শিল্পী
সে কি এর চেয়ে ভালো ক্যানভাস পাবে?
কখনো?
ও হ্যাঁ, কি যেন আঁকবো আমরা?
দুঃখ। ঘন যৌবনের গাঢ় দুঃখ।
কার দুঃখ আগে আঁকবো বলো তো?
ঠোঁট অথবা আঙুলের?
নাভির দুঃখও কিন্তু হেলাফেলা নয়!
আর গোপন সেই পাহাড়ের দুঃখের কথা বলছো?
সে মুখপোড়া তো খিদেয় মরমর।
কতদিন আর অনাহারে বাঁচবে হতভাগা?
নারী জাতির হাস্যকর স্পর্ধা কি জানো?
সে তার নীল চোখ দিয়েই
আগুন রঙের পুরুষ আঁকতে চাই!
আগুন আঁকতে হলে
জবা ঠোঁটের রক্তবর্ণ মধু চাই।
তাই না? তুমি কি বলো?
নারীর স্বপ্নে আগুন
ইচ্ছেতে শীতলতা।
আর পুরুষের ইচ্ছেতে আগুন
স্বপ্নে শীতলতা।
রাতে, নীল আলোর জ্যোৎস্না ফুটলে
নারী কখনো
পুরুষ নামের মানুষ দেখতে চাই না;
সে চাই -
নেকড়ে নামের এক ক্ষুধার্ত পশু।
মূর্খামির আঁধারে আঁধারগ্রস্ত মানুষ
জেনেও জানে না
তার মধ্যে নিহিত কি অসীম "পবিত্র বর্বরতা"!
নারী তা বলতে জানে না
পুরুষ তা ছুঁয়ে ছুঁয়ে আঁকতে জানে না।
তোমার আঠারো, আমার একুশ।
আর মুখপুড়ী চূর্ণী নদী, তার এখনো সন্ধ্যে ছ'টা।
চলো- দুজনের একহাতে, আমরা
দুঃখগুলোকে আঁকি।
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
অসাধারন লিখেছেন দাদা, জানতে ইচ্চে হয় মালবিকা কি আপনার কল্পনা, নাকি আপনার বাস্তব জীবনেও সে ছিল