পুরুষ যখন- শিরদাঁড়া সোজা রেখে, গর্বের সঙ্গে, নারী-চরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়; তখনই তাকে- বিক্রমী সিংহ পুরুষ লাগে। নারীকে শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখা, তার উপর অত্যাচার করা; আর যাই হোক, পৌরুষ নয়। কেবল হীনমন্য- ইঁদুর ছুঁচো টিকটিকি, নারীকে অপমান করে।
নারীকে, নারীবেশ আর আচরণেই স্বর্গীয় লাগে। যা কিছু কোমল নয়, তা নারী নয়। যা কিছু সুন্দর নয়, তা নারী নয়। যা কিছু ত্যাগ নয়, তা নারী নয়। যা কিছু সুগন্ধী নয়, তা নারী নয়। যা কিছু প্রেম নয়, তা নারী নয়। শঠতা, নিষ্ঠুরতা- রাক্ষসীর গুন, কোন নারীর নয়।
দুর্ভাগ্য- আজকাল, পুরুষ নারী উভয়ই কেমন যেন হিঁজড়া হয়ে যাচ্ছে। (মাপ করবেন- এ শব্দ হিঁজড়াদের অপমানের জন্য নয়, এটা মানব চরিত্রের, বিশেষণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।) পুরুষ তার পৌরুষ হারিয়ে, কেমন যেন- ঘৃণ্য ছারপোকা হয়ে যাচ্ছে। নারী তার- দয়া মায়া কোমলতা হারিয়ে, কেমন যেন রাক্ষস হয়ে যাচ্ছে।
বঙ্গ বা ভারতীয় সংস্কৃতি- রামচন্দ্র, বুদ্ধ, অর্জুন, ভীষ্ম, গার্গী, মৈত্রেয়ী দ্বারা তৈরী। তাদের জন্মভূমিতে, পুরুষকে ইঁদুরের মতো ঘুরতে দেখলে ঘৃণা হয়। তেমনি- নারীকে, পুতনা রাক্ষসীর মতো রক্তপিপাসু দেখলে, গা-টা গুলিয়ে উঠে।
হে পুরুষ, তুমি পুরুষ হও। হে নারী, তুমি নারী হও।
প্রবন্ধ: © অরুণ মাজী
Painting: Ravi Verma
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem