জীবনের মতো নচ্ছার ফক্করবাজ
আমি কখনো দেখিনি।
মানুষকে বলদ সাজিয়ে
জীবনভর তাকে ঘানি টানাতে থাকে।
আর নিজে কলু সেজে
হুঁকো খেতে খেতে তামাশা দেখে।
স্বপ্নে,
সুখ নামের সোনার পাথরবাটি দেখে
মানুষ সারাজীবন ঘানি টানতে থাকে।
ক্লান্ত হয়ে কখনো সে ঝিমিয়ে পড়লে,
জীবন
সপাটে তাকে দুঃখের চাবুক মারে।
বেচারা নগেন মাস্টার!
সকালে স্কুল করে
বিকেলে টিউশন পড়িয়ে
তিরিশটা বছর কাটিয়ে দিলো;
অথচ সুখের মুখ
এখনো সে দেখলো না।
মাস্টারের বৌ
এখনো ঝাঁটা হাতে স্বামী পূজা করে!
আমি বলদও সেজেছি, ঘানিও টেনেছি।
তবে আর নয়।
এবার আমি গোঁয়াড় গাধা সেজেছি।
ঘানি দেখলেই
সর্ষে গাদায় শুয়ে পড়ি আমি।
তেড়ে আসে জীবন দুঃখের চাবুক হাতে!
তবুও ঘানি আমি টানি না।
জীবন এখন
আমাকে তেল দেয়।
মাঝে মাঝে হুঁকোও খেতে দেয়!
আমার ইচ্ছে হলে ঘানি টানি।
নতুবা নয়।
আমাকে দুঃখের চাবুক মারতে মারতে
জীবন নিজেই এখন ঝিমিয়ে পড়ে।
জীবনকে আমি শাসিয়ে রেখেছি।
"বেশি আস্ফালন করো না।
নইলে আমিও,
তোমার আন্ডারপ্যান্টে
বিষাক্ত পিঁপড়ে ছেড়ে দেবো।"
© অরুণ মাজী
Painting: Chen Yi Fei
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem