Sonali Mitra's Counter Discourse To Stark Electric Jesus Poem by Malay Roy Choudhury

Sonali Mitra's Counter Discourse To Stark Electric Jesus

সোনালী মিত্র: প্রচণ্ড বৈদ্যুতিক ছুতার পড়ার প্রতিক্রিয়ায় রচিত
বিস্ফোরণ ও শুভা

ক্রমশ উর্ধ্ব-সত্তরের প্রেমে ডুবে যাচ্ছে বসন্তবর্ষীয় আয়ু
সারসার দিয়ে রক্তকীট...বাস্তুতন্ত্রের বিষাক্ত ফণা ধেয়ে গেল
গঠনপোক্ত মধ্যতিরিশের দিকে; তাদেরও
হারিয়ে দিতে পারে বুকে লাট খেয়ে যাওয়া
তোমার সাদা চুলের ঘোড়া ।
ছুটছে, ছুটছে ছত্রপতি শিবাজি চত্ত্বর পেরিয়ে মহানভারত দরজায়
উড়িয়ে দিচ্ছে সবুজ পতাকার স্নেহ ।
পতাকার দণ্ডে আত্মমৈথুনরত সাহিত্যচেতনা ।
থ্রিজি নেটওয়র্কেও কেন গিলে নিতে পারছি না সমগ্র তুমিকে!
পিচ্ছিলজাত পরমান্নে ফসকে যাওয়ার খেলা ।
উফ! আর পারছি না কেন! জ্বলে যাচ্ছে সৃষ্টিশীল তুরুপ?
কেন ডুবে যাচ্ছি তোমার মধ্যে?
তোমার থেকে তোমার আগুনে জ্বলানো বীর্যক্ষয়ী শব্দের শরীরে?
সেখানে আউসের শীষে সোনালী শিল্পের ক্ষণজন্ম তেমনভাবে
জরুরি কি?
সেখানে আমাদের মতো সহস্র তামাটে চামড়ার ছড়াছড়ি
যারা চিচিংফাঁক মেলে ধরে সিঁধিয়ে নিয়েছিল ছয়ফুট
আট ইঞ্চির আত্মঘাতী ধাতব সমীকরণ...
দশেরায় রাবণ মারতে মারতে আমিত্ত পুরুষবিরোধী
হয়ে উঠছি সময়?
আমিও সেঁটে নিচ্ছি তকমা! নারীবাদী হলে
কতটুকু লাভ চেটেপুটে নেওয়া যায় ক্যালকুলেশান বইয়ে দিচ্ছি
ফেসিয়ালে মোমতোলা লোম ত্বক!
তোমার শিরায়-প্রতিশিরায় একশ ছিনেজোঁক বাসা
বাঁধবে বলেনি,
আমার জঙ্ঘার মধ্যবিত্ত গুহায় ঘোলা রসে তোমার নাম নিয়ে
প্যান্টি ভিজিয়ে যাবে এমনও ঘটেনি প্রিয় পুরুষ ।
তবুও তোমার প্রেমে পড়া যায়!
গত এককুড়ি রমণীর মতো
বুকের ওড়না সরিয়ে বলতেই পারি আমিই বা কম কিসে ।
যারা তোমার শীতঘুম ভাঙনের অহরহ নায়িকা, চোখ তুলে
দেখ নব্বুই মিলিয়ন উষ্ণতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি শূন্য দশকের
খাতা জুড়ে । একশ শ্বাপদ হামলে পড়েছে নারীর
রসালো খাদ্যের দিকে । সন্ধ্যারতি থেকে নামাজ
তক ছুড়ে দিচ্ছে মুঠো-মুঠো উপঢৌকন উপাচারে ।
আমি এদের পাত্তা দিই না...
তোমার কথা ভেবে বালিশে চুমু খেতে-খেতে এটা তো জানি
কাগজের গায়ে উষ্ণতা দিতে সক্ষম বলেই আমার আগের ও পিছের
রাধাবিন্দুর একচ্ছত্র সম্রাট তুমি ।
অগ্রজ "শুভা" মহালক্ষ্মী হলে তুমি শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্মে তেভাগার
নারায়ণ,
রূপের পরে কয়েকটা শূন্য বসালেই জ্বলন্ত সূর্যের তাপ ক্রমশ হ্রাস ।
তখন কাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বলবে প্রিয়
তোর শ্রীমুখ ঐশ্বর্যের উপর অন্নপূর্ণা!
ঐশ্বর্যের উপর নিটোল ফিগার এঞ্জেলিনা তথাস্তু ঠোঁটের আগমন!
না মশাই কেবল রূপের মহিমা নই...
সন্ন্যাসী এবং শরীরখোর ঈশ্বর এলেও তরতর করে
লিখে যেতে পারি বিশ্বাসঘাতিনী শব্দ ।
তোমার মতো এক চাদরের নিচে নারী ও শিল্পকে সঙ্গমরত করে
বলতে পারি নারী ও শিল্পের মতো বিশ্বাসঘাতিনী আর কিছু নেই,
প্রেমিকার চোখের দিকে চোখ রেখে জেগে-ওঠা পুরুষাঙ্গের মতো
অস্হির কলমের দিব্বি - - ঘাড়ের নিচে কামড়ে ধরে-থাকা ক্ষুদ্রার্থ
বাঘিনীর দল
তোমার শিরদাঁড়া ভেঙে জন্তুটাকেও নাড়িয়ে-চাড়িয়ে
তারাও বলতে পারে- -
যৌবন থেকে শিল্প পর্যন্ত গল্পকে টেনে নিয়ে যাওয়াও একটা আর্ট,
যৌনতা থেকে কবিতা পর্যন্ত সৃষ্টিকে সফলতা দেওয়াও একটা আর্ট ।
শুধু সেখানেই তুমি-আমি কি সফল!
"ওরা" বলে, নষ্ট শব্দের কচকচি ঘাটার চেয়ে তোমার
আর্থ্রারাইটিস ভোগা আঙুল ঢের বেশি ভালো ।
যাদের জড়িয়ে বলতে পারি, যে
শিশুদের জন্ম দিয়ে গেল বাতক্ষয়িত আঙুল তারা তোমার বীর্যের
চেয়েও দামি । শ্লেষ্মাকষ্টে হৃদপিণ্ড জাগা বুকে শেষবারের মতো ভরে নাও
বিশুদ্ধ অক্সিজেন আর একবার তোমার নিচে
আরামগ্রহণকারিনী নারীটিকে ভেবে ছড়িয়ে দাও বীর্য
৩০০০০০০ শিশু উড়ে যাক গ্রিক মিথোলজির দিকে
সাবর্ণ লাম্পট্য অ্যামপ্লিফায়ার ছিঁড়েখুড়ে
নারীর পরম মমতার দিকে বেঁচে থাক মাইলের পর মাইল

Wednesday, February 12, 2020
Topic(s) of this poem: envy
COMMENTS OF THE POEM
READ THIS POEM IN OTHER LANGUAGES
Close
Error Success