কেউ মরে যাচ্ছে,
অন্তরালের নির্জন স্তব্ধতায়, শব্দহীন বাতাসে।
গভীর এক বিষাদের চাদরে ঘুমিয়ে যাচ্ছে -
একটি জীবন, একটি কল্পনাপ্রতিম আখ্যান।
মস্তিষ্কের জমাট বাধা স্মৃতিরা ধসে পড়ছে,
অলক্ষ্যে, নীল অনুভূতির অন্তর্গত স্তরে।
একটি দেদীপ্যমান অধ্যায় নিভে যাচ্ছে।
কেউ মরে যাচ্ছে,
পরিত্যক্ত প্রান্তরে, পুরানো দিনের বিবর্ণ রঙে।
যেখানে ছিলো প্রজ্জ্বলমান প্রত্যাশার আলোক।
আজ সেখানে নৈঃশব্দ্যের গভীর সমাধিস্থল,
মনে হয় যেন প্রতিটি শ্বাসে, চেতনার ঢেউয়ে,
অতীতের সেই স্নিগ্ধতার ম্রিয়মাণ মৃত্যুযাত্রা।
কেউ মরে যাচ্ছে,
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আকাঙ্ক্ষা নিয়ে, নিবিড় বিশ্বাসে,
যা এক সময়ে সংযুক্ত করেছিল দ্বৈত আত্মাকে।
প্রেমের শিরা, রক্তমাংসের প্রতিটি অনুরাগ,
নিঃশব্দে বিদায় নিচ্ছে অভ্যন্তরস্থ মন্দির থেকে।
যেন বিবর্ণ পাতায় লেখা এক অসম্পূর্ণ মহাকাব্য।
কেউ মরে যাচ্ছে,
ঢেকে যাচ্ছে সকল প্রভাতী আলো, সঞ্জীবনী।
কালক্রমে জীবনের মানচিত্র থেকে মুছে যাচ্ছে,
মস্তিষ্কের নিউরনে বিঁধে থাকা এক একটি কণা।
নিঃসঙ্গতার তীব্রতায় জমে থাকা প্রতিটি অশ্রু,
বয়ে নিয়ে যাচ্ছে সেই অনন্ত বিদায়ের উপাখ্যান।
কেউ মরে যাচ্ছে,
চেতনাতলস্থ দূর আয়তনে, সময়ের গহ্বরতলে।
আমরা কখনো তা দেখি না, তা অনুভব করি না,
শুধু নির্বাক সাক্ষী হয়ে সবাই দাঁড়িয়ে থাকি।
ক্ষীণ আলোর অবশেষের নিঃশেষিত প্রহরে,
অন্তিমে সমর্পিত, নিঃশব্দে গলে যাচ্ছে অবক্ষয়ে।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem