যখন থেকে বুঝি তখন থেকেই দেখছি এই রাস্তায়ই আমার সব।
এখন আমার নিত্যদিনের সঙ্গী এই চিরচেনা শহরের কলরব।
জীর্ণ-শীর্ণ দেহ নিয়ে বিবস্ত্র হয়ে আমি থাকি বসে।
ঐ ময়লার স্তূপের ধারে কিংবা ফুটপাত ঘেঁষে।
কে আমার বাবা-মা, বেঁচে আছে কী না সেটাও আমি জানিনা।
এই ব্যস্ত শহরের বুকে তাদের কথা মনে করা নিছক এক কল্পনা।
এ বেলা খাবার জোটে তো ও বেলায় নেই।
যেনো ঝরা ফুলের মতো হারিয়ে যাবো অচিরেই।
আমি পথশিশু বলছি, চিনতে পেরেছো আমাকে?
প্রতিনিয়ত লাথি গুঁতা উষ্টা দিয়ে আসছো যাকে।
আমারোতো ইচ্ছা হয় একটু সুন্দর করে বাঁচতে।
তোমাদের মতো প্রাণ খুলে হাসতে।
বইয়ের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে স্কুলে যাবার কথা আমিও ভাবি।
কিন্তু তোমরাইতো বলো পড়ালেখা করবি নাকী খাবি?
আমি তো পথশিশু, আমার কী আর শেখার অধিকার আছে?
এগুলোতো শুধু মূল্যহীন ক্ষণিকের ইচ্ছে।
আমিতো চাইনি বারবার বৃষ্টিতে ভিজে রোদে শুকাতে।
আমিও চেয়েছিলাম তোমাদের মতো পথ চলতে।
কিন্তু পারিনি, কারণ আমি পথশিশু।
এই কল্পনায় গা না ভাসিয়ে আবারো কাজ খুঁজতে হবে পরশু।
কিন্তু এভাবে আর কতোদিন চলবে?
এই সমাজটা, এই দেশটা আর কবে বদলাবে?
আর কতো করবে এই পাঁচ দশ টাকা দান?
এবার তো অন্তত খোঁজো সমাধান।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem