মনে কী পড়ে সেই বুকফাটা আর্তনাদ আর বিভৎস রাহাজানি?
শুনতে কী পেয়েছিলে, অকালেই ঝরে পড়া পাতার মর্মর ধ্বনি?
যেদিন এই বাংলা ঝাপসা চোখে বারবার বলছিলো চিৎকার করে,
এতোটা নির্দয় হোসনে তোরা, এবার আমায় একটু মুক্তি দে ওরে।
কিন্তু ওদিক থেকে প্রতিধ্বনি এসেছিলো রেহাই নেই রেহাই নেই।
আরো বললো ওদের নতুন নীতি পোড়ামাটি নীতি চলতে থাকবেই।
ভুখা শিশু চিৎকার করতে করতে কন্ঠনালি ছিঁড়ে ফেলেছিলো।
পরম আদরে আগলে রাখা সন্তান হারিয়ে মা মত্ত হয়ে উঠেছিলো।
কী ভাবছো এ বাংলা ওদের থাবায় নিমজ্জিত হয়েছিলো সেদিন?
না, বরং ঐ ক্ষ্যাপা কুকুরের দলই ডেকে এনেছিলো ওদের দুর্দিন।
সূর্য সন্তানেরা আগুনের স্ফূলিঙ্গের মতো দপ করে জ্বলতে লাগলো।
ভয় ডর মাটি চাপা দিয়ে ওদের বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলো।
সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে বুকে হিম্মত নিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলো লাখো বীর।
মুজিবের চেতনাকে আঁকড়ে ধরে ভেঙ্গে দিলো যতো অপশাসনের প্রাচীর।
নবীন প্রজন্ম তোমরা সেই সংগ্রাম দেখোনি, শুধু বইয়ের পাতায় পড়েছো।
মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে গড়া এই সাজানো স্বাধীন বাংলাকে দেখতে পাচ্ছো।
স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর এসে আজ তোমরা বন্ধন হারাতে বসেছো।
সেই বন্ধন, যে বন্ধনের জোরে তোমরা শিকল ছিঁড়ে মুক্ত হতে পেরেছো।
কী ভাবছো দস্যুদের থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনা এতোই সহজ ছিলো?
বললাম না তোমরা মুক্তিযুদ্ধ দেখোনি, উপলব্ধি করতে পারবে না এগুলো।
শুধু গণতন্ত্র, রাজনীতি, নির্বাচন নিয়ে চিৎকারেই কী ভালোবাসা কয় দেশকে?
না; কখনোই না, দেশপ্রেমিকের চিন্তায় খোঁজো
এ প্রশ্নের উত্তরকে!
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem