কথারা যেনো মহাকালের কুয়াশায় ভাসে,
অস্তিত্বের গাঢ় স্রোতে ডুব দেয়,
তারা স্মৃতির জলধি ছুঁয়ে যায়।
মনে পড়ে সেই, 'চিরদিন তুমি আমার'?
কোথাও লুকানো কি ছিলো একটি নোটবুক,
যেখানে নেটওয়ার্কের ধীরগতি বিরক্তি বুনে?
অতীতের পাতায় ভবিষ্যতের ড্রাফট লেখা হয়।
প্রান্তিক চাষির ধানের কাহিনী,
জীবনানন্দের সোনালি রোদে শুয়ে থাকা,
প্রতিটি বীজের গল্প যেন বুনো কবিতা।
অথচ, দেখি শুধু হিজিবিজি আঁকা,
অলংকারে মোড়া শব্দেরা ক্রিস্টালে জমে,
অবয়ব হারিয়ে গলে যায় ছায়ায়।
এ কি কবিতা, নাকি ভাঙা শব্দের ঘরবাড়ি?
তোমাদের মতবিরোধ গুলো,
আমার ধৈর্যের কোরে খোঁচা দেয়।
বালকের মতো রাগে ভরে উঠি,
তবু ব্রাজিলিয়ান ঘোড়া হয়ে নিয়ন্ত্রণ করি!
আমার কলমে বাজে অদ্ভুত এক ছন্দ,
পঁয়ত্রিশ মিলিমিটারের সেলুলয়েডে ছায়া,
অপার্থিব কোনো সিনেমার মতো দেখা দেয়।
পৃথিবীর উত্তাপ বাড়ে, বিদ্যুৎ চুরি হয়,
রেকুনের খিদে মিশে যায় আকাশে,
আমি ভাবি বুদ্ধের মতো নির্বিকার হবো কি?
নাকি কবিতার স্তবকে প্রার্থনা রাখবো,
যেখানে লুকিয়ে আছে জীবনের মানে,
যা শুধু আমাদের পাঠযোগ্য।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem