নৈঃশব্দ্যের পর বেজে উঠলে একান্তে
মরুঝড়ের তীব্রতা নিয়ে
শান্ত সমাহিত রাত্রির নদীর বাতাসে
জন্মের আদিকথা কথা মনে পড়ে
মনেহয়-
জন্মের রহস্য শীর্ণ ঘুমন্ত প্রান্তরে খেলা করে
শীতের সন্ধ্যার রূপ নদীজলে ভেসে ওঠে
জ্যোৎস্নার রাত্রিতে প্রাকৃত ভাষার ছন্দ
নাড়ীতে রক্তের মতো বইছে অনন্ত শিকড়ে বাকড়ে
দুরহ ঝঞ্ঝার পর শীত সন্ধ্যার গোধূলি রূপ আর
রুপালি জলের ঢেউ আমাকে আচ্ছন্ন করে
অদেখা শুন্যের দিকে ভেসে যাই নীল রাত্রির তরঙ্গে
শৈশবের শালিনীর নদীজলে
এই জীবন নিজেকে ধুয়েছে
চূড়ান্ত দুপুরের সূর্যে
অজানা জন্মের কথা
পাললিক শিলার বিস্তৃত স্তরে স্তরে
সাজানো ফসিলে খুঁজেছি নিভৃতে
জন্ম ও মৃত্যুর ধূসর অনন্ত প্রবাহে
বইছে নিহত আকাঙ্খা গুলি
প্রতিশ্রুতির নির্জনে
তোমার দুঃখিত মুখ ভেসে ওঠে
বুক ভাঙা স্তিমিত শব্দেরা
পৃথিবীতে একদিন সুগভীর প্রেম এনেছিল
তৃষ্ণার্তের কণ্ঠস্বরের কুয়াশা ঘেরা অন্ধকারে তোমাকে দেখেছি
চারপাশ ঘিরে আছে বিষবাষ্পে, শুধু জীবনের ম্লান অপচয়ে
আচ্ছন্ন মাটির দেহ নিয়ে তোমাকে খুঁজেছি
শাল পিয়াল পলাশ মহুয়ার বনে
একদিন তমালের তলে বাঁশি হাতে এই
কাঁকুড়ে মাটির প্রান্তরে অনেক সূর্যাস্তে
আমরা পৃথিবীর ধুলোঘ্রানের প্রগাঢ় স্পর্শে ভেসে গেছি
শিরা উপশিরার ভেতর বন্য ফুলের গন্ধের স্রোতে
শীতের সন্ধ্যার রূপে নদী জলে
ভেসে ওঠা শোক চিহ্ন গুলি আমাকে পোড়ায়
মরুঝড়ের দুরহ পথে নিঃসঙ্গ দহনে...
স্বেচ্ছা দহনে একান্ত নৈঃশব্দ্যের পর বেজে উঠলে
ঘুমন্ত প্রান্তরে একটি কবিতার জন্ম হয়
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem