হে মহাজীবন জেগে ওঠো মৃত্যুর পশ্চিম দেশে
নিজেকে নিঃশেষ করে এমন রক্তাক্ত সময়ে যেওনা চলে
মাটির শিশুরা চেয়ে আছে তোমার আমার হাতের
রক্তিম পতাকার দিকে
অন্ধকার মেখেছি ধুলোর মতো সমস্ত শরীরে
পৃথিবীর রাজপথের সমূহ অভিজ্ঞতা
কুড়িয়ে নিয়েছি নিজেকে নিঃশেষ করে
ভেবেছিলাম—
সকল নবীন শিশুর শূন্য হাতে সেই
ইস্তেহার দিয়ে যাবো
আঁধার মাখানো এমন দিনের জন্য
দিনশেষে দেখেছি দেবার মতো
কিছুই ছিলনা
যেটুকু পেয়েছি
বিষের সে বিন্দু পান করতে হয়েছে
নিজেকেই
আমার মুঠিতে আছে
অক্লান্ত শহুরে যন্ত্রণার স্মৃতি
মাথার ভেতর মেধার কুসুম
হাহাকারের শিবিরে স্মরণার্থিদের মতো
ব্যাথার বিষাক্ত জলে ডুবে আছে
দুর্দিন হয়তো এমনই হয়!
নগরের রাশি রাশি বেদনা
বহন করবে কে আর!
দুর্দিন কেড়েছে সব
বিশুদ্ধ হবার অনুভব টুকুও নিয়েছে কেড়ে
নীল আকাশের উদারতা গ্লানির প্রবাহে ক্রমশ
মলিন হয়ে নষ্ট অবোধের দেশে চলে যায়
কোথাও কোনও আকাঙ্খার
উজ্জ্বল উৎসাহ নেই
সেই পুরনো প্রাসাদ তার নিঃশব্দ ক্লান্তির ভারে
আজ জর্জরিত
অনেক মৌনতা সমাধি ফলকে লেগে আছে।
মানুষের অস্তিত্বের এই চেতনার দেশে
প্রজন্মের নতুন জাতকদের
প্রাণের প্রাচীন কথা বলে গেছে তারা
আজো তা রয়েছে মাটির গভীরে
দুঃসময় বৃন্তকে উপড়ে ফেলে
রাত্রির ফুলের দেহ হতে খামচে তুলেছে মাংস
সর্বনাশের উচ্ছ্বাসে সকল সকাল বিধ্বস্ত করেছে;
মানুষকে শুনিয়েছে মানুষের আর্তনাদ
বিভৎস কঙ্কালে ভরে দিয়ে জ্যোৎস্নার
রাত্রিকে অস্থির করেছে
তারপর-
শোষিতের ভয়ংকর সমাজের হাতে মানুষকে
তুলে দিয়ে অভিশাপের অভিজ্ঞ দিনে
নিজেকে প্রতিষ্ঠা করে পাথরের মূর্তির মতন
হে মহাজীবন, জেগে ওঠো
নিশ্চিত মৃত্যুর পশ্চিম দেশের দিগন্তে
যেওনা নিজেকে নিঃশেষ করে
এই অসময়ে
পৃথিবীর প্রত্যেকটি শিশু রেখেছে তোমার হাতে হাত
পৃথিবী কাঁপিয়ে তুমি পথ দেখাও তাদের
চলো জেগে উঠি নিজস্ব প্রান্তরে
রূপ কথার সে রাখালের বাঁশি
হাতে তুলে নিয়ে
গণ সঙ্গীতের বিপ্লবের সুরে
সমবেত হয়ে
মানবিক দুঃখের বিরুদ্ধে জেগে উঠি
অস্তিত্বের রক্তপদ্ম হৃদয় গহ্বরে জেগে আছে
যুগে যুগে
আকাশের নক্ষত্রের ভিড়ে প্রগাঢ় শান্তির ধারা
বইছে ভুবনে
চূড়ান্ত জ্যোৎস্নার অন্ধকার মাখব এবার
দুর্দিনে যেওনা নিজেকে নিঃশেষ করে
চলো জেগে উঠি অভিজ্ঞ মাটির সুরে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem