আর্যাবর্তের জননী ও কর্ণ Poem by Soumen Chattopadhyay

আর্যাবর্তের জননী ও কর্ণ

হে আর্যাবর্তের জননী কি চাও তুমি
সন্ধ্যার এমন অবকাশে

আমার মন্দির হতে কেউ
ফেরেনি কখনো খালি হাতে
এই সুতপুত্রের এ গর্ব
কখনো হয়নি ম্লান; বলো
কি চায় তোমার

গোধূলি আলোর গভীরে জন্ম ও মৃত্যুর জীবন
ছড়িয়ে দিয়েছি;
বিনিময়ে চেয়েছিলাম স্নেহের অনন্য একটি দিব্যফুল
আমি প্রতিশ্রুতির প্রবাহে
কখনো হাঁটিনি বিপরীতে
জন্মের প্রাচীনতম অস্তিত্বে নিজের প্রতিবিম্বে
সংগ্রামের দৃঢ় কথাভাসে
আমিতো যুদ্ধের গভীরেই জেগে আছি

হে পঞ্চ পুত্রের জননী বলো কি চায়
তোমার, এসেছো এমন মলিনমুখে এসন্ধ্যায়

বিদায় বেলার সূর্যে কেঁপে ওঠে দেহের স্তব্ধতা
অভিমানগুলির উপর
বিকেল শেষের কুন্ঠিত রোদ্দুর চিরকাল ঝুঁকেছে নিঃশব্দ্যে

নিহতের হিম অক্ষিপল্লবে ঝরেছে
অঞ্জলি নিঃসীম অন্ধকারে

মনেহয় প্রাণহীন শরীরের শূন্য
মন্দির গোধূলি বেলার নরম আলোতে ব্যথিত
বিচ্ছেদে প্রগাঢ়
প্রেম চেয়েছিল

সেইদিন এই হিমরাত দীর্ঘ হতে
আরো দীর্ঘতর হতে থাকে

শিকড়ের অন্তরে নিভৃত সূর্যের সকল আশা
অবাধ্য শিশুর মতো মায়ের ঘনিষ্ট
কোলে সময়ের সমূহ স্বপ্নের ক্ষণে
কেঁদেছে কাঙ্খিত কল্পবৃক্ষের বিশ্বাসে

সেদিন ফাল্গুনে কুয়াশার
হাহাকারে নিঃস্ব বুকের কিছুই ছিলোনা দেবার
সন্তানের কাঙাল দুহাতে
সেই কথা বোলোনি তো আগে

হে আর্যাবর্তের জননী তবুও তুমি শতসহস্র দুঃখের
রাতে দিয়েছো যা ক্ষতবিক্ষত মরমী ইতিহাসের শরীর
কবে আর পেয়েছে তা; প্রত্যাখ্যানে অনুভবের মহৎ হৃদয় পেয়েছি

নিহত মুহূর্তে বঞ্চনার দেহ প্রাণ
হারিয়েছে বিকেল শেষের
ঘনিষ্ট রোদ্দুরে

শাস্ত্রের অনেক জ্ঞান কবে আর দিয়েছে একাগ্নি
বানের মতন আবিষ্ট লক্ষ্যের নিশ্চিত প্রেমের
স্বীকৃত স্বজন

অকাল বসন্ত নেমে আসে
চোখের গহবরে
মাতৃজঠরের
ছায়ার গভীরে
অরণ্যের নিমীলিত নদী বয়ে যায়;
অসমাপ্ত শৈশবের স্মৃতিরা পাখির কলতানে
খুঁজেছে নিজেকে ভালোবাসার নিহিত
অঞ্জলীর ফুলের গভীরে
সুদূরের কাঙ্খিত বিশ্বাসে
অভিমানী আর্যাবর্তের স্নেহের কোলে

আর্যাবর্তের জননী ও কর্ণ
Saturday, August 29, 2020
Topic(s) of this poem: life
COMMENTS OF THE POEM
READ THIS POEM IN OTHER LANGUAGES
Soumen Chattopadhyay

Soumen Chattopadhyay

Raghunathpur, purulia west Bengal
Close
Error Success