এখানে এখন
বসন্ত রোদ্দুরে
জেগে আছে অরুনাভ পলাশের প্রজাপতি ফুল
শাল মহুয়ার
জঙ্গল ঘিরেছে
আমাদের গ্রাম
ঘিরে আছে ছোট ছোট ঘর
ছোট কিছু কথা
ভরেছে পাখির কলতান
হিমরেখা ফুটে
শীতল রাত্রিতে
কঠিন নির্জন
টিলার উপর...
পেটের ভেতর অন্ধকারে খিদের সহজ কথা
এমন মাঠের প্রান্তে শুনবে কে আর!
সকল ভাষার প্রতিধ্বনি
দুপুরের তপ্ত
দুরন্ত পাথর হতে ফিরে
আসে বারবার
যদিও অরণ্যমধু আশ্বিনের কিছু ভরা ক্ষেত
তুলে দেয় ধানফুল কোনোএক অন্তরঙ্গ ভাঙা
সন্ধ্যার প্রহরে
পাহাড়ি ঝুমরু তিলাইয়া তার কম্পিত দুহাত
নীল আকাশের
দিগে ছুড়ে দিয়ে
প্রাচীন পরাগ
খুঁজে অনর্গল
ফল্গুর গভীরতর স্রোতের মতন
সত্তার প্রবাহ,
উদাসী প্রান্তর লক্ষ্য করে অবিরল
দেখেছি এখানে প্রকৃতির
গভীর বেদনা
মানুষকে কোলে তুলে মায়ের মতন
আদিবাসী অশ্রু শুষে নেয়
আদিমের মহানীরবতা
মাটির চন্দন
জল ছুঁয়ে তারা
নিজেকে প্রসন্ন
করেছে দুর্দিনে
হে পাহাড় বৃক্ষ নদীজল
অহর্নিশ আমাদের মর্মের জগত
তোমার সমীপে দাঁড়িয়েছে এই বিপন্ন সময়ে
আমার চলার
পথে জেগে থাকো
রইবো তোমার কোলে শুধু
বাঁচার আনন্দে
আরো কিছু কাল
অনাবিল প্রসন্নের মাঝে
উৎসাহী অনেক বাসনারা জেগে আছে
আমৃত্যু দুচোখে তোমাকে দেখবো বলে
সুতীব্র শীতের রাতে হিমরেখাগুলি ফুটেছে তোমার দেহে
বসন্ত রোদ্দুরে ঘিরেছে আমার আদিবাসী গ্রাম
হে প্রকৃতি, মনেপড়ে শ্যাওলার আদিম জীবন
সময়ের হাতে বিপন্ন প্রাণের ক্ষয়
মনেপড়ে পিয়ালের বনে সূর্যের আলোর রেখা
প্রাণ বুনে অতিব্যাক্তিগত
আনন্দ ধারায়
আমার সকল অশ্রুফুল
রেখে যাবো, ফিরে ফিরে আসব আবার মহানীরবের কোলে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem