গোলাপের গাছ না পুঁতলে, তুমি গোলাপ পাবে কি করে? সুখ নামের ফুল, শান্তি নামের গাছে ফুটে। তো শান্তির গাছ না পুঁতলে, জীবনে তুমি সুখ পাবে কি করে?
জীবনে সুখ পেতে চাইছো, অথচ ক্রোধ ঘৃণা হিংসা বিদ্বেষের গাছে বারবার জল ঢালছো; তো তাতে কি ঘটবে? অশান্তির গাছ বড় হবে। আর অশান্তির গাছ বড় হলে, তোমার মনের ও দেহের অসুখ বাড়বে।
বিজ্ঞান তার ল্যাবরেটরিতে প্রমান করেছে, ক্রোধ ঘৃণা হিংসা বিদ্বেষ- মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস করে। হার্টের রোগ ডায়াবিটিস ক্যান্সার আর্থ্রাইটিস কোলাইটিস ইত্যাদি ক্রনিক রোগ, সবই ঘটে ক্রনিক ইনফ্লামেশন থেকে। ক্রোধ ঘৃণা হিংসা বিদ্বেষ, মানুষের শরীরে ক্ষতিকারক হরমোন আর কেমিক্যাল তৈরী করে। ফলে মানুষের শরীরে তৈরী হয় ক্রনিক ইনফ্লামেশন। আর সেই ক্রনিক ইনফ্লামেশন থেকে তৈরী হয় হার্টের রোগ ডায়াবিটিস ক্যান্সার আর্থ্রাইটিস কোলাইটিস ইত্যাদি ক্রনিক রোগ।
গাইতে গাইতে গায়েন। বাজাতে বাজাতে বায়েন। এর অর্থ হলো- তুমি যা কিছুর ধ্যান করবে, তুমি তাই হবে। তুমি যদি অশান্তিমূলক চিন্তা করো, তো তুমি অশান্ত আর অসুখগ্রস্ত হবে। আর তুমি যদি শান্তিমূলক চিন্তা করো, তো তুমি শান্ত আর সুস্থ হবে। এ তো অঙ্কের মতো সরল আর সত্য।
ধরো, তোমার ঘর অন্ধকার। তুমি যদি তরোয়াল নিয়ে সেই অন্ধকারের সাথে লড়াই করো, তো অন্ধকার কখনো দূর হবে না। অন্ধকার দূর করতে হলে, তোমার ঘরে প্রদীপ জ্বালাতে হবে। তোমার মনের মধ্যে যে অশান্তির অন্ধকার, তা দূর করতে হলে, তোমার মনের মধ্যে, গঠনাত্মক শান্তিমূলক চিন্তার প্রদীপ জ্বালাতে হবে। কবিতা গান গল্প সেবামূলক কাজ খেলাধূলা প্রকৃতির মধ্যে ভ্রমণ দৌড় এক্সারসাইজ ইত্যাদি হলো সেই গঠনাত্মক কাজ।
অন্যকে সমালোচনা বা আঘাত করার অভ্যাস ত্যাগ করো। কথা কম বলো। ব্রিদিং এক্সারসাইজ করো। ক্রোধ হিংসা বিদ্বেষ পরিত্যাগ করো।
দুঃখ কি জানো? কলেজ বা ইউনিভার্সিটি কখনো আমাদেরকে শান্তির অভ্যাস শেখায় না। তারা বরং মানুষকে যেন তেন প্রকারেণ সফল হতে উদ্বুদ্ধ করে। সফল হতে গিয়ে মানুষ হিংসা বিদ্বেষগ্রস্ত হলেও, বা চুরি ডাকাতি করলেও, তাতে তাদের ভ্রূক্ষেপ থাকে না। ফল? তারা হয়তো সফল হয়। কিন্তু জীবন তাদের অশান্তির যন্ত্রণায় জর্জরিত হয়ে উঠে।
সিডনিতে, গরীব মানুষ থেকে শুরু করে, বিশ্ববিখ্যাত মানুষ- সবাই আমার কাছে আসে। আমি পর্যবেক্ষণ করেছি, বড় মানুষরা বরং আরও বড় সমস্যায় জর্জরিত। বড় মানুষদের বুদ্ধি আর পরিশ্রম যদি তাদেরকে সুখ বা শান্তি না দিতে পারলো, তো তাদের এই জীবনভর অক্লান্ত পরিশ্রম কিসের জন্য? তোমরা ভালো থেকো। ডাঃ অরুণ মাজী /সিডনি
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem