কোন বেয়াদপ তুমি?
হারামখোর বহুরুপী টিকটিকির মতো
ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলাও?
আমার
আমি বলে যাকে জানি
তাকে আমি জানি না।
জ্বলন্ত এক নক্ষত্রকে
একদা মামা নামে ডেকেছিলো যে শিশু
সে কে?
মায়ের কোলে বসে
চাঁদ মামার দেওয়া
টিপের জন্য সারা রাত্রি কেঁদেছিলো যে শিশু
সে কে?
তাকে জানতাম
কিন্তু ভুলে গেছি আজ।
এ পৃথিবীর তিনশো সাতাশটা রক্ষিতা
আর সাড়ে তিন হাজার অবৈধ সন্তান।
নইলে তার মুখে এতো
মদের দুর্গন্ধ আর লাম্পট্যের প্রাচুর্য কেন?
এমন সব অভিনব খিস্তি খেউরের আবিষ্কর্তা
যে অকুতোভয় কিশোর
সে কে?
তাকেও ভুলে গেছি আমি।
ওহে নগেন মাস্টার
কতদিন আর চশমার ফাঁক দিয়ে
যুবতী নারীর উন্মুক্ত নাভি দেখে
কাটা ছাগলের মতো
যন্ত্রণাকাতর রাত্রি যাপন করবে?
এমন সব অভিনব সত্যের দর্পণ যে যুবক
তাকেও ভুলে গেছি আমি।
ওহে ভাগাড়ে যাওয়া যুবক
কে তুমি
মালবিকার ঊরুর ফাঁক দিয়ে
অন্য এক নারীর
অর্দ্ধ উন্মুক্ত বুকের দিকে তাকিয়ে আছো?
কে তুমি?
আমি নামের
সেই হারামখোর হারামজাদাকে
কেবল আবছা আবছা জানি আমি।
হাঁফিয়ে হাঁফিয়ে হাঁটছে সময়।
আর তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে
হাঁটছে
চরিত্রহীন বহুরূপী অজানা আমি।
© অরুণ মাজী Arun Maji
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem