তোমাকে মনে পড়লে
বুকটা কেমন উথাল পাতাল করে;
আর থেকে থেকে, চূর্ণী নদীর বুকটা ভেসে উঠে।
তোমাকে মনে পড়লে
চোখের সামনে লুটিয়ে যাওয়া
সর্ষে ফুলের ঈৰ্ষাভরা, চোখটা ভেসে উঠে।
তোমাকে মনে পড়লে
স্বপ্নের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া
একাকী চাঁদের, প্রতীক্ষার যন্ত্রণা জেগে উঠে।
তোমাকে মনে পড়লে
হারিয়ে যাওয়া আঠারো বয়সটা
থেকে থেকে, বুকের মধ্যে তুড়ি বাজাতে থাকে।
কে জানে?
আসলে ভিজে চুলের গন্ধ নিয়ে
কখনো তো কাছে, ডাকেনি কেউ।
নরম নরম বুকে, হাতছানি দিয়ে
কখনো তো চেপে, ধরেনি কেউ।
ধরেছে, হয়তো অনেকেই ধরেছে; ;
হয়তো তারা পাহাড়ের শক্তি দিয়েই ধরেছে।
কিন্তু কোন বুকেই তো আর, এতো তেজ নেই
এতো টান নেই, এতো সুগন্ধ নেই।
ভিজে চুল তো অনেক শুঁকেছি
কিন্তু তোমার মতো তো কেউ নয়?
ঠোঁটের পরশ তো অনেক পেয়েছি
কিন্তু কারওটা তো, তোমার মতো নয়?
মনে পড়ে তোমার, সেই বাঁধা ঘাটের কথা?
একলা ঘাট, পাগলা নদী- দুটো পাগলা পাগলীর কথা?
জানো, সেই ভালো ছিলো।
খোলা আকাশ, ভরা নদী; সেই ভালো ছিলো।
তোমার বুকে আমি, আমার বুকে তুমি-
আমাদের সেই ভালো ছিলো।
তবুও মাঝখানে সব কিছু
কেমন যেন উল্টে পাল্টে গেলো।
সখী চলে গেলো, ব্যথা রয়ে গেলো।
স্বপ্ন মরে গেলো, স্মৃতি রয়ে গেলো।
কোথায়, কোথায় আছো তুমি?
জানো, এখনো কেবল তোমাকেই মনে পড়ে
তোমাকে, কেবলই তোমাকে।
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem