কত কল্লোল কোলাহল
তবুও কত একাকী আমি।
জনারণ্যেও কতো নির্জনতা!
চলমান জীবনেও কত স্থবিরতা!
আনন্দের সানাই সুরের মাঝেও
কত বাকহীন, বোবা-কালা ব্যথা!
গুড়ুগুড়ু গর্জন মাঝেও
কত প্রকট ঝিঁঝি পোকার কাতরতা!
জীবণের মাঝে কত লুক্কায়িত মরণ
সুখের মাঝে কত আবৃত দুঃখ-অসুখ
আহার মাঝেও কত আত্মার অনাহার
কাঁসর ঘন্টা মাঝেও কত আর্তনাদ হাহাকার!
কি খোঁজে গফুর মিঞা?
কোথায় যায় নগেন মাস্টার?
কার খোঁজে পেন্তীর মা?
কার প্রতীক্ষায় মালবিকা?
গফুর মিঞার সোনালী শস্যে
হটাৎই একদিন মড়ক দেখা দিলো!
হাঁটতে হাঁটতে নগেন মাষ্টার
হটাৎই একদিন পড়ে মরে গেলো!
পেন্তীর মায়ের ছেলেটা এখনো এলো না
পেন্তীর মায়ের অপেক্ষা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হলো!
কোথা থেকে মালবিকার অমলকে
ক্যান্সার একদিন গ্রাস করে নিলো!
স্বপ্নের মাঝেও কত দুঃস্বপ্ন!
তবুও কত কত স্বপ্ন দেখে মানুষ!
তবুও কত কত রামধনু আঁকে মানুষ!
স্বপ্নের ঘোরে থাকতে গিয়ে
মানুষ একদিন জানতে পারলো;
তার জীবন নদী শুকোতে শুকোতে
একদিন কোথায় কেমন যেন মিলিয়ে গেলো!
এ পৃথিবী কেন? এ আকাশ কেন?
এ জীবন কেন? এ যৌবন কেন?
এ অমল কেন? এ মালবিকা কেন?
সবাই, সবই যদি মরণে শেষ
মরণ তবে-
একমাত্র সত্য নয় কেন?
একমাত্র ঈশ্বর নয় কেন?
মরণই যদি একমাত্র অধীশ্বর
তবে অমল মালবিকার বেঁচে থাকা কেন?
জীবনের অনর্থক এতো আস্ফালন কেন?
সবই তো প্রশ্ন! উত্তর নেই কেন?
তবুও প্রশ্নেই কি সব শেষ?
জীবন কি কিছু নয়? নদীর কল্লোল কি কিছু নয়?
মালবিকার ওষ্ঠে, অমলের চুম্বন কি কিছু নয়?
হয়তো এ কবিতাও কিছু নয়!
হয়তো এ প্রশ্নও কিছু নয়!
তবুও- এ কবিতা লিখি কেন?
এতো শত প্রশ্ন করি কেন?
তোমরা এ লেখা পড়ছো কেন?
পড়ে এতো ভাবছো কেন?
তোমার সময় এখন স্থির কেন?
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem