মন, তুই আলু কাবলি খাবি?
ঝাল ঝাল টক টক, অনেক অনেক আলু কাবলি!
তুই আর আমি, অনেক অনেক খাবো।
সকলকে- দেখিয়ে দেখিয়ে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে খাবো।
মালবিকার বারান্দার নীচে,
বসে বসে, ওকে- দেখিয়ে দেখিয়ে খাবো।
খেতে খেতে, ওর বারান্দার দিকে
একটু আধটু ছুঁড়েও দেবো।
ওকে ভেংচি কাটতে কাটতে
আমি তাড়িয়ে তাড়িয়ে খাবো।
মালবিকা যখন লুকিয়ে লুকিয়ে খায়
তোকে কি একটু দেয়?
দেয় না। একটুও দেয় না। কক্ষনো একটুও দেয় না।
আলু কাবলিও দেয় না, আর ছুঁতেও দেয় না।
কাছে বসতেও দেয় না, একটু ঘেঁষতেও দেয় না।
তুই আর আমি, ওকে দেখিয়ে দেখিয়ে খাবো।
আলু কাবলিও খাবো, তেঁতুলের আচারও খাবো।
ঝালমুড়িও খাবো, ধনিয়া পাতার আচারও খাবো।
বেশ করবো খাবো।
ওকে দেখিয়ে দেখিয়ে খাবো, তাড়িয়ে তাড়িয়ে খাবো।
একশোবার খাবো। হাজারবার খাবো।
আমার ইচ্ছে, আমি খাবো; যখন তখন খাবো।
মন, তুই একা একা খাবি? তোর কষ্ট হবে না?
মালবিকাকে না দিয়ে খেলে, তোর কষ্ট হবে না?
বয়েই গেলো। ওর কষ্ট হলে আমার বয়েই গেলো।
ও যখন একা একা খায়, তখন কি ওর কষ্ট হয়?
হয় না। একটুও কষ্ট হয় না। কক্ষনো একটুও কষ্ট হয় না।
মালবিকা আচারও দেয় না, আর ওকে ছুঁতেও দেয় না।
পাশে বসতেও দেয় না। কাছে ঘেঁষতেও দেয় না।
কিন্তু মালবিকা যদি পাশে এসে বসে,
আর উশখুশ করে তোর দিকে তাকিয়ে থাকে-
তখন তুই কি করবি?
কি করবো? তখন আমি কি করবো?
মালবিকাকে পুরো আচারটা দিয়ে,
ওর ঠোঁট দুটো আমি, চেঁটে পুঁটে খাবো।
ধনিয়া পাতা আর কাঁচা লঙ্কা মেখে-
ওর ঠোঁট দুটো, তাড়িয়ে তাড়িয়ে খাবো
সকলকে দেখিয়ে দেখিয়ে, ছড়িয়ে ছিটিয়ে খাবো।
গোল্লায় যাক, গোল্লায় যাক তোর আলু কাবলি
মালবিকার চেরি ঠোঁট দুটো, আমি চেঁটে পুঁটে খাবো।
© অরুণ মাজী
Painting: Scott Burdick
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem