যে তুমি রক্তের
প্রাচীন গহ্বরে অস্তিত্ব রেখেছো ধরে
যে তুমি নিজেকে ক্ষয় করে বেঁচে থেকে
পৃথিবীর হাতে দিয়েছো ফাল্গুন তুলে
যার জীবনের গাঢ় ক্লান্তিতে নৈঃশব্দ কাঁপে আজো
যে তুমি গেয়েছো যুদ্ধবিরতির গান
সেই তুমি গোপনে একাকী
গূঢ় চিতাভস্বে নিভৃতে মিলিয়ে গেলে...
উদাসীন সময়ের ভেতর শুষ্কতা
নিয়ে শুয়ে আছো নিঃস্ব, তুমি চিরকাল—
এ দৃশ্য দেখেছি বারবার
মৃত্যু ও ধ্বংসের ধূসর সন্ধ্যায়
তোমার এমন
ছায়ামূর্তি ভাসে
পুরানো মাটির
সবুজ প্রান্তরে
তোমার রক্তের বাষ্পসমুদ্রে আচ্ছন্ন
রাত্রির আকাশ হতে
যন্ত্রণার দীর্ঘ প্রতিধ্বনি
ফিরে ফিরে আসে রুক্ষ ধুলোর বাতাসে
আর অন্ধকার ভেদ করে জাগায় আমাকে
তীরের মতন বিদ্ধ করে
তোমার রক্তাক্ত
করোটি কঙ্কাল
হে মানুষ চেতনার মূলে
এতো অক্ষমতা সাজিয়ে রেখেছো তুমি!
এমন বিপন্ন
ছিলোনা জীবন
সকালের সূর্য
আমাদের হাতে দিয়েছিলো
অদম্য আগুন...
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem