জানি, তুমি মৌনের গহিন
দুঃখে গনগনে আগুনে স্পন্দিত হও
কখনো বা শোকে
মহাবিশৃঙ্খলে
প্রাচীন বৃক্ষের মতো দাঁড়িয়েছো তুমি বারবার
অবেলায় গ্রীষ্মের প্রধান দুপুরে যখন লোরকার মৃত্যু
মৃত্যুকে করেছে মৃত্যুহীন
তুমি জানো কিভাবে তোমার উচ্চারণে
উচ্ছসিত হয়েছি আমরা
অসফল মানুষের ভীড়ে
ঘন অন্ধকারে
জনগণতান্ত্রিক বিপ্লবে...
চিরকাল বিপন্ন হাতের উপর রেখেছো হাত।
তুমি তো শঙ্খের ধ্বনি, এই যন্ত্রণার
রাতে বেজে ওঠো একবার
একবার জেগে ওঠো তুমি
নীরবে কেঁদোনা আর এভর সন্ধ্যায়
রাত্রির নিরীহ রুক্ষ শুষ্ক বুকে ক্রমশ জমেছে রক্ত গ্লানি
কুয়াশায় বারুদের গন্ধ—
নিস্প্রদীপ পথে ঘাটে ভিখারীর ক্লান্তিহীন দু'হাত ভেতর
তোলপাড় করে
হে কবিতা ঝনঝন করে ওঠো আমার গলায়
রাতের শব্দের মতো জন সমুদ্রে ছলকে ওঠো
তোমার আত্মার ঘ্রাণে উড়ে যাবো নিজস্ব রোদ্দুরে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem