কে তুমি ছড়ালে প্রাণ এই
নিরন্তর মাঠে!
পৃথিবীর সব পথ ফুরিয়েছে যখন দু'হাতে
হাত দুটি ধরেছো অনেক ভালোবেসে
করোটি কঙ্কালে
নিহিত সত্যের হাহাকার
আমাকে জাগায়
আমাকে পোড়ায়
তারপর—প্রত্যাশা দৃশ্যের জন্ম দিয়ে
উড়ে যায় চক্রাকারে দিগন্ত রেখার
বহু স্পষ্ট অথচ অস্তিত্বহীন সান্নিধ্যে—যেখানে
ব্যাথাহত গোধূলি আলোয় মৃত্যু মৃত্যুহীন হয়...
কে তুমি ছড়ালে প্রাণ বহু ভালোবেসে!
আজ আমারই অবসন্ন শরীর পাঁজর ছিড়ে
বেরিয়ে আমাকে ভালোবেসে
ক্ষয়ে ক্ষয়ে পৃথিবীর এই মাটিকে জমাট করে
আমার ব্যার্থতা ভ্রষ্ট স্মৃতি ঝরে যায় পুড়ে যায়
ম্লান বেদনার দিগ্বিদিক মহামৃত্যুর বিস্তারে...
মাতৃমূলে গিঁথে গিয়ে মধ্যরাতের নীলাভ আত্মা
ফিরে যায় উৎসে
হে আকাশ বিকেলের কবিতা ঘোলাটে হয়ে এলে
অন্ধকারে অন্ধকার ডুবে
শতত শূন্যের দিকে মুক্ত পদক্ষেপে
যে নিঃসঙ্গ স্নিগ্ধ স্বপ্নেরা পূর্ণিমা রাতে
খেলেছে আমার সঙ্গে মেঘার্ত রাত্রিতে আজো তারা
ক্রুশবিদ্ধ পৃথিবীকে ভালোবেসে তোমাকেই ডাকে
কেতুমি ছড়ালে প্রাণ নিরন্তর মাঠে
প্রাণ ভালোবেসে
সব পথ ফুরায় যখন...
জন্মান্ধ পূজারী ফিরে ফিরে চেয়েছে উৎসের দিকে
ক্রমাগত বাতাসের মতো ম্লান হয়ে
ঘুরে ঘুরে ঋজু জীবনকে
গিঁথেছে পূর্ণিমা রাতে, দীর্ঘ মাতৃমূলে
কে তুমি ছড়ালে প্রাণ নাড়ির বাঁধনে
অনেক অনেক
প্রাণ ভালোবেসে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem