গ্রহণ করেছি একেএকে —
নির্জনের অন্ধকার ভেতরের বিমূর্ত অস্তিত্ব
নাভিমূলে জন্ম
স্মৃতির সুদীর্ঘ তাপ শান্ত হাহাকার
মরমিয়া শোকে
সেদিনের শেষবারের ঘুমিয়ে পড়া
মায়ের করুন ক্লান্ত মুখ
যা জেগে রয়েছে স্তব্ধ হয়ে
বুকের ভেতর
রাতের দুঃখিনী কবিতার
বিপন্ন অক্ষর মালার মতন তরুলতারা ঘিরেছে বুক
নিষ্ঠুর মৃত্যুতে কেঁপে ওঠা
ব্যাথিত দু'চোখে দেখেছি অস্ফুট শূন্যের ধূসর
নদী জল চলে গেছে মহাবিশ্বের মন্থর রোদনের দিকে
দাঁড়িয়েছি সন্ন্যাসীর মতো
শূন্যের প্রবাহে যেখানে পৌষের রাত্রে
নক্ষত্রের মালা নেমে আসে
শীতল নদীতে
হাতের তালুর রেখার মতন লালচে হলুদ সেইসব নদী
বহু সভ্যতার জন্ম দিয়ে
নিঃস্ব হয়ে বিস্মৃত সূর্যের দিকে ছুটে
গিয়েছিল
মনেপড়ে ডেকেছিল মেঠো গনিকারা
দূর অরণ্যের অন্ধকারে—
তারপর যোনিপল্লবে ভেসেছে মৃদু শুক্রকীট
বিস্মিত করেছে গর্ভরেনুর নিগূঢ় আত্মহত্যা
তবুও সেদিন রোদ্দুরে ছড়িয়েছিল প্রাণ চিহ্ন
অবচেতনের বহু সন্ধ্যা
এভাবে আমার ভেতর অস্থির হয়
চরাচর জুড়ে বিমূর্ত দেহের মুখে
কথা বলে সেইসব বিলুপ্ত নদীরা
তাদের অস্পষ্ট কণ্ঠস্বর
শুনেছি, প্রাচীন শিলালিপি
পড়তে পড়তে
অন্ধ হয়ে যাচ্ছি
হে পৃথিবী চোখ বন্ধ
হয়ে এলে এই ধুলো স্মৃতি
বিন্দুর সুরের গভীর ওঙ্কারে আমাকে জড়িয়ে নিও
হে মৃত্যু ঘুমোবো
মানুষের কোলে মাথা রেখে
ঘুমোতে চেয়েছি বারবার
নক্ষত্র ধুলোর এই দেহ
চেয়েছে শিশুর হৃদয়ের ধূলোঘ্রাণ
দুঃখের রাত্রিতে যখন পিছনে ফেলে আসা বোধ
পায়ের বিষন্ন ছাপ বিব্রত করেছে
তুমিই তখন আঁকড়ে ধরেছো ধীরে
হে জীবন প্রবাহ— সেদিন তুমিই তো
দুঃখের পবিত্র মাটি ও মনের স্রোতে
মানুষ কে মানুষ করেছে
আজ জ্যোৎস্না জড়ানো আমার
পশ্চিমের বুকে
ফুটেছে যে ব্যাকুলতা গুলি—
গোধূলির মাঠ- ধূলোর আকাশ আরো অনেক অস্তিত্ব
অতিক্রম করে—
আমার দুঃখিনী কবিতাকে
সেই ফুলে দিয়েছি অঞ্জলী
গোপনে মৃণ্ময়ী প্রাণ অসীমে আনত মুখে খুঁজে
মর্মর বোধের
চিরন্তন ধ্বনি
নির্জনের অন্ধকার ভেতরের বিমূর্ত অস্তিত্ব
নাভিমূলে জন্ম
স্মৃতির সুদীর্ঘ তাপ শান্ত হাহাকার
মরমিয়া শোকে আমি ঘুমোবো সপ্তর্ষি অরুন্ধতী
যেভাবে ঘুমিয়ে আছে আজ
শ্মশানের পাশে—আমার শরীরে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem