কিছু স্মৃতি ফিরে ফিরে চায়।
কিছু স্মৃতি ভেসে ভেসে যায়।
কিছু স্মৃতি অতীত বেদনায়।
তড়পে তড়পে যায়।
কিছু স্মৃতি ঘুম ঘুম চোখে
একান্তে কাব্য লিখে যায়।
একদিন পূর্ণিমা রাতে
চূর্ণী নদীর ঘাটে
মালবিকা জিজ্ঞেস করেছিলো আমায়-
"জ্যোৎস্না এতো সুন্দর কেন অমল? "
তখনও আমি
কবিতা লিখতে শিখিনি।
আমি বলেছিলাম-
"ফুল সুন্দর, চাঁদ সুন্দর
তুমি সুন্দর, জ্যোৎস্না সুন্দর! "
আমার ঠোঁটে তার ঠোঁট রেখে
মালবিকা জিজ্ঞেস করেছিলো
"তুমি আবার কবিতা লিখো নাকি? "
আমি বলেছিলাম-
জ্যোৎস্না স্পর্শে
আঁধার ধরিত্রী আলোময় হয়।
মালবিকা স্পর্শে
অমল হৃদয় কবিতাময় হয়।
কাদা মাটিতে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে
আমার বুকের উপর জোর করে বসে
আমার মুখ চেপে ধরেছিলো সে।
আমার জামা ছিঁড়ে
তার কানটা বুকের উপর চেপে ধরে
মালবিকা জিজ্ঞেস করেছিলো-
"তুমি চোর, তুমি চোর অমল!
তোমার হৃৎপিণ্ডে আমার সংগীত কেন? "
মালবিকাকে কাছে টেনে
আমার বুকের উপর চেপে ধরে
তাকে আমি বলেছিলাম-
"বুকটা চিরে দেখো-
কে থাকে ওখানে?
দিনরাত গুনগুন সুরে
কে গায় ওখানে? "
কপট ক্রোধের ভান করে
মালবিকা বলেছিলো-
"তা আমি জানবো কি করে?
তোমার হৃৎপিন্ড তুমি জানো! "
বারোটা বছর হয়ে গেলো।
অমল বুকে কার গুঞ্জন
তুমি কি
আজও জানো না মালবিকা?
বলো তো
কার স্মৃতি বুকে
আজও অমল জেগে রয়?
স্বপ্ন চোখে চেয়ে রয়?
কার স্মৃতির স্পর্শে
অমলের বেদনা
ক্রন্দনরত কবিতা হয়?
© অরুণ মাজী
Painting: William-Adolphe Bouguereau
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem