পড়ন্ত বিকেলে অরুনাভ রোদ
শূন্য আকাশে মিলিয়ে গেলে
চির চেনা গোধূলি নেমেছে
শালিনীর বিশীর্ণ দেহের বুকে
রাঙা হলুদের ঢেউ
কেঁপে কেঁপে ওঠে
ঘুমন্ত শিশুর মতো
হৃদয়ের অস্থিরতা প্রাগৈতিহাসিক
বিস্মৃত আলোর দিকে ছুটে
এখানে মায়ের প্রাচীন বেদনা আজো ঝরে
আদিম অবাধ্য ক্ষুধার্ত জঠর গর্জালে
আজও রাষ্ট্র চেপে ধরে গলা
নিষ্ঠুর রাজার রূপকথা
এই অন্ধকার ব্যাথার রাত্রিতে
বিবর্ণ বাতাসে ভাসে
ফসল বিহীন ধু ধু রুক্ষ মাঠের
অস্ফুট শূন্যতা বিস্ময়ে বাজে
মেধাহীন অন্ধ দেশনায়কের নেতৃত্বে
জাতির উদ্দেশে ভাষণ
হাহাকারের গভীর বুক তোলপাড় করে
মাথাহীন নিভন্ত দেহেরা
সারি সারি শুয়ে থাকে পাথরের মতো
দুর্ভিক্ষের ক্ষুধিত মুখের ছায়া
জেগে ওঠে প্রকৃতির গায়ে
তবু প্রেতপুরীর নির্জন রাতে
কবরের মাটি ফুঁড়ে একটি হাতও
বিষন্ন হওয়ার পাঁজরে ছোড়েনা বুলেট
শুধু ক্লান্তিহীন দুচোখের জল
হৃদয়ের শীতার্ত সম্বল
দিন বদলের দিন এখনো আসে না কেন
শালিনীর তীরে হলুদ সন্ধ্যার বুকে
শুধুই অস্ফুট শুন্যতা বিস্ময়ে বাজে
হাহাকারের গভীর বুকে
মেধাহীন অন্ধের নেতৃত্বে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem