প্রান্তরের গল্প ।। রহমান হেনরী
●
.
রেললাইনের পাশে, প্রায় গোলাকার সেই জলাশয়; অথচ অগভির জল— অনেক উঁচু ধানক্ষেতের আইল কবে যেন ফুটো করেছে মেঠোইঁদুর। ডিপমেশিনের সেচ অনেকগুলো ক্ষেত পেরিয়ে এসে, ইঁদুর-সুবাদে, ওপথেই গড়িয়ে পড়ছে জলাশয়ে... উজিয়ে ওঠা খলবল ঘোড়ার মতো, স্রোতের নিশানা ধরে, উঠে আসছো তুমি; ধরা যাক তোমার নাম অশ্বমাছ— ধরা যাক, অনেক বছর আগে মৃত। রক্তাক্ত কমলালেবুর মত জ্বলন্ত কাঠকয়লা চোখ, দিগন্তের দিকে তাকাচ্ছো। ধরা যাক, তোমাকে জীবন্ত দগ্ধ করা হয়েছিলো— মন্দির, মসজিদ কিংবা গির্জাচত্বরে। সেই গনগনে হলুদ এবং দগদগে লাল— ঝরে পড়ছে তোমার দৃষ্টি থেকে, যেন ওই চোখদুটো বিক্ষত যমজ মৌচাক, মধু ঝরছে: ফোঁটায়, ফোঁটায়... কিন্তু কে তুমি? কুয়াশার ভেতরে অতীত হয়ে যাওয়া অদৃশ্য জল, বিগত দিনের ধোঁয়া, দিন ও রাত্রির মিলনস্থলে বিষণ্নমুখ আসমান? তোমার গাঁদাফুল চোখজোড়া আশ্চর্য সুগন্ধী ছড়াচ্ছে হাওয়ায়— আত্মহত্যার জন্য উন্মুখ রেলপথ শুয়ে আছে প্রান্তরে প্রান্তরে; পরিত্যক্ত, নির্জন মাঠের মধ্যে কেঁদে উঠছে: নীবর আড়বাঁশির ছয়টি হাওয়াপথ—
.
●
.
#রহমানহেনরী; #RahmanHenry
.
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem