চোখ মুখ নাক কান সবই ছিল
হাত পা দুটো নাড়াচ্ছিল বেশ মানে সজীব জিন্দা জীবিত
শুঁয়োপোকা গুঁটি গুঁটি কাছে গেলাম তাকালাম
ভেবেছিলাম কিছু বলবো হবে বুদবুদ কথোপকথন
মনের ভেতরে যে আগুন তা থেকে যে উৎপন্ন হীরা
তা দিয়ে তার মধ্যে আলোর ফলাবো প্রতিফলন
আমার আগুঙ্কে দ্বিগুণ করে তার স্থিমিত ইস্প্রিহায় জ্বালাবো আগুন
কিন্তু সে জ্বলবে কি সে তো হিম পাথর কাঠ
আমার হীরা দেখে তার চোখ চড়কগাছ স্থির পাহাড়
গালফুলে তাল পিঠা ডালপুরি
মুখফুলে লাউ বাতাবি লেবু
দৃষ্টি নির্বাক তাতে ভাব আমার অর্জন ফ্লুক বা অযোগ্য পাত্রে অমুল্যদান
এবার আমি সিক্কা উচ্ছলিয়ে উল্টে দিয়ে পাল্টে দিলাম
তুলে ধরলাম দেখালাম দগদগে পোড়া লাল জবা ঘা
আঙুলের কড়ে গুনে গুনে বুঝালাম কোথায় কিভাবে খেয়েছি ছেঁকা
কোন পাথরের কোণে কোন শিমুলের কাঁটায় খেয়েছি ঘষা
কোন খনন কত গভীর ছিল কোন খনিতে কত ছিল ঝুকি
কোন চড়াইতে কত ছিল বিপদ কোন উৎরাইতে ছিল আপদ
কিন্তু আপদে বিপদে সে কি শিখবে করবে হা হু
সে তো নিরেট জমাট তার শক্ত চোয়াল শীল ঠোঁট
শুধু ফেলে রেখেছে প্রভাব ফেলেফেলে
তাতে ফুটিয়ে তুলেছে এক ভাব আমার এইরকমেই হবার কথা ছিল
বরং আমি বেঁচে গেছি আমার হাড়ে জল ধরার কথা ছিল
ফুসফুসে ধরার কথা ছিল পচন, হয় নি বেঁচে গেছি
এবার দু চার পা এগিয়ে গেলাম বদলে দিলাম কথার ধরণ
আমার মরণ হয়তো নয় এইদুনিয়ায় কোন ক্ষতি
আমি বেঁচে আছি কেননা আমি তাঁকে বাঁচার মত বাঁচিয়ে রাখতে চাই
কিন্তু এ কথাটি তাঁকে বলা হয়ে ওঠেনি
ও বলার আগেই মিলিয়ে গেল, ও ছিল সমাজ, ও ছিল ভূত ।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem