মরণ
মরণের উপর অনেকেই পাকিয়েছে হাত
জীবনের তো কোন কথাই নেই
ইটের উপর ইট গেঁথে বানিয়েছে ইমারতের পর ইমারত
জীবনকে কয়জন ভালোবাসে
ভালোবেসে জীবনের ইমারতে কয়জন করে বসবাস
কাছামেরে উন্মুক্ত বাজারে গেলাম খুঁজতে
আলু পটোলের দোকানে পেলাম হাতের কড়া গুনে কয়েকটি
তবু মানুষ মরতে ভয় পায় শামুকের মতো গুঁটিয়েথাকে
গিরগিটীর মতো রং বদলায়, খোঁজে পাতার আড়াল, ঘরের কোন
এরা যে চিরদিন বেঁচে থাকে তাও নয়
ওরা নিজেরাও জানে
পালিয়ে বেড়ালেই মৃত্যুকে এড়ানো যায় না
বরং কোন কাপুরুষকে দেখলে যম পেয়ে বসে আরও
ভয় দেখায়, হম্বিতম্বি করে আরও যেমন করে পাড়ার মস্তান
ওল নেতা, কচু বনের শৃগাল কিংবা এলাকার ভাড়ুয়া ষাঁড়
তেমনি করে চমকায়অর্ধ-সিদ্ধ বুদ্ধিজীবী
আসলে এরা বাঁচে না, এরা মরতে মরতে বাঁচে
এদের মৃত্যু একবার নয়, চামচিকের মতো রোজআসে শতবার
তবু এদের মরণ কেউ মনে রাখে না
তাদের জীবন লোকেদের কাছে পানের চুন
মেয়দের নেইল পালিশ কিংবা হাতের মেহেন্দি
যতদিন গায়ের সাথে চিমটে লেগে থাকে ততদিন অনুভূত হয় তাদের উপস্থিতি
বেশি গরম পরলে কেউ মরে সান স্ট্রোকে
কেউ কাকের মতো ঝড়ে
কেউ বাদুড়ের মতো তারে আটকে
কেউ সর্দি কাশিতেও মারা যায়,
শরীরে তেল বা চর্বিবেশি থাকলে মরে এরা জ্বরে
আমারও মরণ হবে, একদিন
তবে কারো ভয়ে নয়, না পাতলা পায়খানা পেট খারাপের কোনরোগে
আমার মরণ হোক বুলেটে, কোন সন্ত্রাসীর গুলিতে
দড়ির ফাঁস মন্দ হবে না তবে সেই দড়ির মালিক হতে হবে রাষ্ট্রকে
আমার মরণ একটাই হোক এবং হোক মহা মূল্যবান
এক নিবেএক কালিতে একবারই লেখা হোক আমার মৃত্যু ফরমান
আমি ভয়ে ভয়ে বাঁচতেচাই না
নির্ভয়ে আমার মৃত্যুর বিকাশ হোক
এই রইলো আমার বিনীত প্রার্থনা
তাদের কাছে যাদের আত্মা নিম্ন, সঙ্কীর্ণ আর নোংরা ।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem