ছায়া সাথে প্রচ্ছায়ার মতো
কাছে আছি তোমার।
তবুও দেখো না তুমি।
-
উন্মুক্ত নাভিতে তোমার
নাভিশ্বাস কার?
কার উষ্ণ প্রশ্বাস শুনে
পিছন ফিরো তুমি?
-
তোমার বুকের পাঁজরে
রাতদিন চড়ুইভাতি আমার।
তবুও আশ্চর্য এই
দেখেও দেখো না তুমি।
-
তোমার খোঁপার আড়ালে
কাঁটা হয়ে জেগে আছে কে?
বুকের আবরণে সুঁতো হয়ে
ছুঁয়ে আছে কে?
কটিদেশে চরিত্রহীন গ্রন্থি হয়ে
তপস্যারত কে?
-
অনুভব কখনো করো নি
তাই জানলে না তুমি।
নইলে জানতে.....
-
নারী অঙ্গ শয্যায় শায়িত হয়ে
চির নিদ্রায় নিদ্রিত
যৌবন উন্মত্ত পুরুষ স্বপ্ন।
-
কেন?
বলো, কেন?
তা কতটা পাপ?
কতটা পুণ্য?
নাহঃ না
সে প্রশ্ন করো না আমায়।
-
প্রশ্ন যদি করতেই হয়
তো দেবরাজ ইন্দ্রকে করো।
জিজ্ঞেস করো তাকে
মহর্ষি-পত্নী অহল্যার
স্তনদ্বযুগল ছুঁয়ে
ক রাত্রি বিনিদ্রি ছিলেন তিনি।
পরস্ত্রীর নাভির উষ্ণ আবেশে
ক নরক পাপ করেছিলেন তিনি।
-
জানো না, ক্ষুদ্র মানুষ আমি?
কিসের পাপ? কিসের পুণ্য?
নাহঃ না
পাপ পুণ্য বোধ নেই আমার।
পাতার আড়াল থেকে
দেখি, নগ্ন সিক্ত দেহ তোমার।
স্বপ্ন মাঝে তোমার গোপন অঙ্গ ছুঁয়ে
সহস্র সমুদ্র পাপ করি আমি।
কল্পনা মাঝে তোমাকে জড়িয়ে
এক নদী চুম্বন করি আমি।
-
কেন করি?
বলো, কেন করি?
ছায়া পাশে প্রচ্ছায়ার মতো
তোমার
কাছে কেন আমি?
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem