শিশুর অন্তিম
ঘুম ছেয়ে আছে
ব্যাকুল মায়ের কান্নাকোল
দুঃখ মাখা জলে
নিঃস্ব হয়ে আসি
আধো আধো ভাষা মুখ নিয়ে
প্রতিবাৎসল্যের
প্রাগৈতিহাসিক অশ্রুমেঘ জমেছে সমাধিমাঠে
মায়াবী ছবিতে আত্মঘাতী বিষজল জমে আছে
মেদিনী কাঁপানো শূণ্যগর্ভ
বিষাদী দৌরাত্ম্যে
শ্বাস প্রশ্বাসের ওঠানামা
অশ্রুগন্ধ আর উপদ্রপ বয়ে যায়
চাঁদনি কপালে
কালসিটে হয়ে
মোমের মতন দেহে মানুষের উত্তেজনা জাগে
এরা কি শুধুই তবে নির্মানুষ, পশুর থেকেও
হীন কোনো পশু
তাই তারা আজ অশ্রু স্বাদে সুখ পায়
পারাপার সেতু
আজ চিহ্নহীন
নিঃশব্দ আঁধারে শেষ সূর্যে
শিশুর ডুবন্ত চোখ রক্ত স্যমন্তক হয়ে ঝরে
প্রগলভ ঘনঘোর ছায়া
অনিবার ডেকে যায় অতল দিনান্তে
আনপথে হাঁটি শিশুমুখ মনে জাগে
পৃথিবী একলাটি বন্ধন বিহীন চলে
ভালোবাসাহীন
রক্তমেঘরাগে
হিমবেদনার দুঃখমুখ তার নিচু হয়ে আসে
শূন্য একহারা
শিশুরসটুকু জ্বলে যায়
আকাশ ফুরানো ছেঁড়াদিনে
শিথিল সাঁঝের বেলা দুঃখমূলে মরামুখ ভাসে
ব্যাকুল মায়ের
কান্নামাখাকোলে
প্রাগৈতিহাসিক
অশ্রুমেঘ ঝরে
বিষাদী দৌরাত্ম্যে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem