কাক জ্যোৎস্নার আকাশে
দুঃখিত দিগন্ত জাগে
শাল পিয়াল তমালের তলে—আঁকড় বৈচির ঝোপে
আদিবাসী মানুষ ঘুমন্ত
এই গ্রামে ক্ষয়ে ক্ষয়ে বাঁচে
লোভনীয় পরপার চিরকাল স্তব্ধ থাকে
পাহাড়তলীর বুকে।
কঠিন মাটির ফসলের উদার তরঙ্গে,
ডানা ভাঙা কালো পায়রারা ঘুমিয়েছে
প্রান্তরের কাঁধে মাথা রেখে—
উদাসী পার্থিব পৃথিবীর এক কোণে
ফুলমণি মেঝেনের ছেলে পাথুরে রোদ্দুরে
প্রাণপণ খেলে গ্রীষ্মের দুপুরে—
পাগৈতিহাসিক দ্বীপের নিভৃত জলে
নৈশব্দের সেই দ্বীপে ধুলি ধূসর জীবন
অনন্তের অস্তিত্বে বইছে নিজের মতন…
অধিভৌতিক রাত্রিতে সাঁওতাল ছেলেরা
ফুলের রূপসী রেনুর মতো ভেসেছে জোড়ের জলে
মহাশান্তির গহ্বরে
পরিযায়ী পাখি ধ্যানমগ্ন হয়
এখানের শালিখের সাথে, মধ্যরাতের নদীতে
অদৃশ্যের সাথে ঘুরে ঘুরে নেচে ওঠে গান গায়
অলৌকিক সুরে
হলুদ সন্ধ্যার নির্জন প্রবাহে
পূর্বপুরুষের সমাধি চূড়ায় আলো জ্বেলে
সেইসব মানুষেরা দেখেছিল
ধূলো পায়ে পথ হেঁটে বিবর্তন আসে
ভাঙাচোরা পথে
ব্যস্ত নগরের কোলাহলে বেদনার নীল রেখা দেখে
একাকী জাগরী হেমব্রম ঘরে ফেরে জীবনের আগুনের লোভে
মধ্যরাতে অনন্তের অস্তিত্বে ফুলের রেনুগুলি
ভেসেছে জোড়ের জলে
সঙ্গীতের নীল সুরে প্রেমের পৃথিবী ভাসে…
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
magnificent in thought and expression.....10+