দীর্ঘরাতে নিরুপায় চোখে দেখি বিক্ষুব্ধ সমুদ্রে
নিক্ষিপ্ত হয়েছে দীপ্ত প্রাণে আমার ভুবন
তখনো প্রখর ছিল মূল সুর সৃষ্টির ভিতর
ভূতাত্ত্বিক বিবর্তনে যুগ ক্রমে পিছনে হাঁটছে
মৃত্যুর দুঃসহ ধ্বনি বেজে ওঠে কোষের জগতে
আমার প্রার্থনা শুনে জেগে উঠার মতন
অভিনব দেবদূত নেই আর সপ্তর্ষি মণ্ডলে
বিমূর্ত অস্তিত্ব আজ বড় বেশি বিব্রত করেছে
অবক্ষয়ী পৃথিবীর ধুলো-মাটি-স্রোতে-অক্লান্ত নিষেকে
নিজেকে দেখেছি, মনে হয় দর্শনের শর্তগুলি
অজানা নিয়মে বাঁধা অথবা কঠিন ভাবে চিরন্তন নয় বলে
প্রলয়ের অভিজ্ঞতা আজও সত্তাকে অস্থির করে
ফুলের পাপড়ি ভীত চোখে দেখে আকাশের সন্ধ্যাতারা
এমন সময় রক্তে ভাসে সমগ্র আকাশ
পুনরায় মধ্যরাত, স্পর্শ করে আমার জীবন
একটি বিধ্বস্ত আত্মা তীব্রতর আদিম প্রবাহে
দুর্লভ আলোর দিকে খুঁজে ফেরে বিকল্প পৃথিবী...
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem