বিশেষণ মূলত অলঙ্কার। শব্দকে সাজানোর জন্যে বিশেষণের জন্ম। অর্থাৎ বিশেষণ শব্দকে ভাষাপরিবারে স্বচ্ছভাবে প্রকাশ করে। কখনো একটি কমন শব্দকে আনকমন করে। কিছু শব্দ আছে যা নিজেই অসংখ্য বিশেষণের ধারক। তার আগে বিশেষণ বসানোর প্রক্রিয়া বাহুল্য।
তেমনি একটি শব্দ ‘আল্লাহ’! “‘আল্লাহ’” শব্দটি তাহ্কিক বা বিশ্লেষণ করা যায় না। তাই আমরা জানি না “‘আল্লাহ’” শব্দটির ওজন কতটুকু। বলতে পারি “‘আল্লাহ’” শব্দটির মানদণ্ড ‘আল্লাহ’ নিজেই। কোনো বিশেষণ দিয়ে ‘আল্লাহ’কে আলাদাভাবে পরিচয় করানোর অর্থ হয় না। তাছাড়া যিনি ‘আল্লাহ’ তিনি ‘দয়ালু’ ‘করুণাময়’ ‘শান্তিদাতা’ প্রভৃতি গুণের ধারক হবেন স্বাভাবিক। অজ্ঞভাবে আমরা কেন বলব-
“অসীম দয়ালু পরম করুণাময় ‘আল্লাহ’
তারপরও আমরা কেন বলি?
ডিএনএ-ই পৃথিবীতে একমাত্র মৌলকণা বা মৌলিকুল যার একটি থেকে অন্য আরেকটির অবিকল কপি হয়। জীববিজ্ঞানের ভাষায় এই প্রক্রিয়াকে বলে র্যাপ্লিকেশন (Replication) । তা হলে একটি বিষয় স্পষ্ট চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্য কিংবা চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্যের শেকড় চিন্তার বৈশিষ্ট্য অতীত নৃ-তাত্তি¡ক ইতিহাস বাদ দিয়ে নয়।
আজকের যারা বাঙালি মুসলমান, অতীতে অধিকাংশই নিম্নশ্রেণীর সনাতনী। সনাতনীরা দেব-দেবীকে বিভিন্নভাবে সাজাতে পছন্দ করে। নাকের তুলনায় বড় নাকফুল, হাতের প্রাচুর্য, নিরীহ প্রাণীকে শোষণে বীরত্ব প্রকাশ প্রভৃতি। এই সনাতনীরা যখন গঙ্গার জলে দেবীকে বিসর্জন দিয়ে আল্লাহর কাছে নিজেকে সর্ম্পণ করে তখন ‘আল্লাহ’কে বিভিন্ন বিশেষণে অলঙ্কিত করে। ফলে ‘‘আল্লাহ’’ অনেক বিশেষণের মালিক। যার মধ্য দিয়ে ‘‘আল্লাহ’ শব্দটিকে অপমান বা ছোট করা হয়। কেননা কোটিপতিকে লাখপতি হওয়ার প্রার্থনা আমাদের জানা।
তাছাড়া ভুলে যাই নি- অনুবাদগ্রন্থ মূলত রূপান্তরিত গ্রন্থ। কোরআন অনুবাদের দায়িত্বে ছিলেন বিদ্বান সনাতনী।
তাই ‘‘আল্লাহ’’ শব্দকে নিয়ে ব্যবহৃত ‘বিশেষণ’ তুমি পালিয়ে বাঁচো।
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem