নৈঃশব্দ্যের সত্তা জেগে ওঠে
বেদনার স্তব্ধ রাতে
ক্লান্তির গভীরে অবচেতনের শান্ত নদীতে
অফলা বৃক্ষের ভীষণ প্রতিবিম্বের ভেতর
ভেসে যায় নিজের করুণ মুখ
তবু কবিতার শব্দগুচ্ছ অঘ্রানের
মাঠের বাতাসে সমূহ দিগন্ত
জুড়ে কেঁপেছে নতুন ফসলের দেহে
তপ্ত জীবনের অভিমুখে সেইসব শব্দেরা
ছুটেছে যন্ত্রণার ঘনিষ্ঠ কাহিনীহীন দেশে
অজানা সেদেশ আমার ঘুমন্ত বুকে শুয়ে থেকে
স্মৃতির অন্তরে আদিম বৃষ্টির মতো ঝরে
অসীমের দেহরেখা জুড়ে দেখেছি-
ঘুমের দেশে দেব-বাতাসের খেলা আর
মহাকাশের উড়ন্ত ধুলোতে
প্রেমের নির্জন জন্মের স্রোত...
স্তব্ধতার আগুনের অসংখ্য অতীত
বারবার জন্মে মরে গেছে
ভাষাহীন সূর্যাস্তের দেশে
আজ রাত নেমে আসে
বিকলাঙ্গ কল্পনার স্তূপে
স্মৃতিদগ্ধ জন্মান্ধ চেতনা
আজ কবিতার ভেতর
দুঃখের গান গেয়ে
ছায়াবদ্ধ মাতৃ অন্ধকারে
ধূসর মৃত্যুর দুর্বহ জীবন
চিরে শিকড়ে বাকোড়ে
আরো এক নতুন অস্তিত্বে
জীবনের প্রিয়তম নারীর
সান্নিধ্য পেতে চেয়ে
উড়ে যায় দূর আকাশের
গোধূলি আলোতে
শুন্যাবর্তে ঘুরে ঘুরে
নিঃসঙ্গের ইতিহাস
কিছু বোধ দিয়ে গেছে
সমাজ ও রাষ্ট্রের গভীরে
গৃহস্থের ধনেখালি শাড়ি আর
জীবনের সহজ দুঃখকে ক্রমশ কঠিন করে
দেহের নিতান্ত যৌন-যন্ত্রনার ক্লান্তি
প্রাচীন বিশ্বাসে পুড়িয়ে ফেলেছে
কত যুবক প্রাকৃত রাতের সে বোধে নিজেকেই
নিজেই মৈথুন করে মধ্যরাতের আগুনে জ্বলেছে
আমার কাঁকুরে মাটির সুদূরের পথে
বহু পরিচিত কোন এক গ্রামের অভাবী ঘরে
জানি মহাকালের শূন্যতা রয়ে যাবে—
কে আর জেনেছে জল ফড়িংয়ের
বাসনা কখন নিভে যায় সন্ন্যাসীর মতো ঘুরতে ঘুরতে
জলজ গন্ধের দেশে...
দেখেছি ঝর্নার দেশে
প্রপাতেই সে সুন্দর
আমিও পড়বো ঝরে
যাবার সময় হলে
যদিও অনেক বাসনা বসন্ত
বাতাসে রইবে আত্মঘাতী মানুষের হৃদয়ের মতো
স্বরচিত নির্বাসনে রয়ে গিয়ে
গাঢ় রাত্রির আকাশে আমার নিষ্ফল বীজ গুলি
বলে ওঠে -
যত দুঃখ আছে দাও
মেতে ওঠো উৎসবের উজ্জ্বলতা নিয়ে
বেঁচে থাকো বাঁচার বিজয় উল্লাসে
ফুটবে ফুল অনন্ত ঘুমের দেশে
দাও যত দুঃখ আছে
দাও দাও যত আছে মধ্যরাতের যন্ত্রণা
যে বৃক্ষের সকল মুকুল ঝরেছে
সে দুঃখ আজ এ রাতে
আমার ব্যক্তিগত হোক
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem