তৃষ্ণার্ত বটের ঝুরি মূল গুলি নেমে আসে
গ্রামের প্রান্তরে -
জীবনের চেতনার মাঠে;
দিগন্তের শুণ্যেমহীরুহের স্তব্ধতা ভাসে আমার দু'চোখে
বিস্তীর্ণ সত্ত্বার নির্জনে প্রাচীন
এই বৃক্ষের শিকড় মাটির অন্তর
ছিঁড়ে সুদীর্ঘ পায়ের ছাপে নিজেকে স্থাপন ক'রে
পৃথিবীর আকাশ বিদীর্ণ করে নতুন আলোতে
জন্ম কে সার্থক ক'রে
যদিও মানুষ মানুষকে বঞ্চিত
করেছে সকালের আলো হতে
তারপর -
সকল মসৃণ আস্তরণে
ঢেকেছেপ্রান্তিক আর্তনাদ গুলি
মনেপড়ে সেই অতীত রাত্রির কথা
দেখো মনে ক'রে—
এই ভাঙা স্তূপেআমার
মাটির ঘর ছিল-
এই ধূসর ধূলোর ভিতর
যন্ত্রণা ও আনন্দ ছিল একদিন
আজ অন্ধকারে এইসব হাতছানি
বড় ব্যক্তিগত মনে হয়
অজস্র রক্তের কনিকারা
কেঁপে ওঠে দুর্বোধ্য আঁধারে
মানুষের রক্তে যে নিষ্ঠুর দাগ
তাকে এই সন্ধ্যায় পোড়াও
চেতনার আগুনে জ্বলতে দাও
গত শতাব্দীর মা'কে মনেপড়ে—
উল্কি ছিল গলা ও হাতে চুড়ির মতো
যেন কোন এক পাহাড় পুরের কন্যা
চিকন পাতার ফাঁকে ফাঁকে রোদ এসে
জঙ্গল ও মাটি সে শরীরে
ওতপ্রোত হয়েছিল
মহীরুহের এমন দেশে
জীবনের তীব্র বাসনা ছিলনা
স্নিগ্ধ আকাশের গায়ে
কালপুরুষের মতো জ্বলজ্বল করেছিল
শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতির আনন্দ
শরীরের শেষ, শেষ হলে
কেউ আর এখন
পিছন ফিরে দেখেনা শ্মশান
ছোট্ট ডোবা হতে
কম্পিত দু'হাতে
জল ঢেলেছি মায়ের চিতাভস্মে
এইভাবে —
অনিবার্য মৃত্যুর
দুঃখ ও শোক আমাদের
নিয়ে গেছে বারবার
কোন এক মানবিক নদীর
পশ্চিম ঘাটে
শব্দহীন নাভিশ্বাস উড়ে যায়
আকাশের অগণন মেঘে
ধমনী বাহিত আত্মার অসুখ
সকল সভ্যতা মুছে দিয়ে
নিজের সঞ্চার পথ ভরেছে কাঁটার স্তূপে
মনেপড়ে শান্ত সেই অতীত ঝর্ণারকথা
যার প্রপাত ভূমিতে
কবিতার নৌকা ভেসে যেত
বন তিতিরের ডাকে
প্রাচীনের অতল হৃদয়
প্রান্তরের প্রবিত্রতা ছুঁয়ে মানুষের
চিরকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের আকাশকে
ছড়িয়ে দিয়েছেমানুষের মনে
এখন আহত চন্দনের শিকড়ের রসে
নিজেকে বিদায় জানাই দূরের
কোন এক পৃথিবীর কথা ভেবে…
আসন্ন সন্ধ্যার ছায়াতে
নিজেকে ভরি মহুয়ার গন্ধে…
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem