অরুনাভ সন্ধ্যের পাখিরা
কবর ভূমির সমাধি ফলকে
নিজের নিঃসঙ্গ প্রতিমূর্তি দেখে
এক রক্তিম আগুনে ভ্রষ্ট স্মৃতি
ফিরে পাচ্ছিলো ব্যাথার বিদ্যুৎ চমকে
প্রাগৈতিহাসিক পূর্ব পূর্ব পুরুষদের জন্য
খুলে যাচ্ছিলো স্মৃতির সমূহ পথের
আন্তরিক সংস্কারের সুখ ও যন্ত্রনা
ছোট্ট হৃদয়ের রক্তস্ফীতি ছিঁড়েছিলো
শিরা উপশিরা -প্রাকৃত মাথার স্নায়ুগ্রন্থি আর
রাত্রির গভীরে অশরীরী বিষাদ পোকারা
কুরে কুরে খাচ্ছিলো আসন্ন মা পাখিদের আত্মা
তবু -
উষ্ণতার প্রাচীন প্রবাহে
আদিম দেহজ রস সেই সময় বিন্দুতে স্থির থেকে
খুঁজেছিলো অমৃতেরস্রোতের সমুদ্র গন্ধ
শরীর তখনো মাটির নোনতা স্বাদের
কাঙ্খিত আকাক্ষা পূরণে
বৈরাগীর ঘনিষ্ট আকাশে
উড়ে গেছে প্রিয়জনের নিবিড় যৌনজলে সিক্ত হতে
করোটি কংকালে রুদ্ধ বেদনার মুক্তি চেয়ে
দূর বটবৃক্ষের চূড়ান্ত অরণ্যের গানে
নিজেকে জাগিয়ে রেখেছিলো অতীতের স্পর্শে
অনেক ক্লান্তির পর
চেতনার পালক রক্তের
নীলাভ অস্তিত্বে সফলতা
ফিরে পেয়েছিলো পাহাড়ি বাঁকের
ঘন আরোগ্যবর্ধনি অন্ধকারে
ব্যাথাহত ব্যর্থতারা জেগে উঠলে
সন্তান সম্ভবা সেই মা পাখিরা
তাদের গর্ভেনিয়ে বারবার
প্রতিশ্রুতির হাতের উপর দুঃখিত হাত
রেখে নতুন সূর্যের আলোর প্রতীক্ষা
করেছিল অবক্ষয়ের পোড়ানো দিনে -
পৃথিবীর নোনতা মাটির দেহের করুন স্বাদে...
গোধূলি সন্ধ্যার বিশীর্ণ আকাশ
হতে ফিরে ফিরে এসেছিলো
আত্মজের জন্ম দিতে সেই আরোগ্যবর্ধনি অন্ধকারের পাহাড়ি কোলে
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem