ইয়া সারিয়া! আল-জাবাল।
ইয়া সারিয়া! আল জাবাল।
মসজিদে নববীতে জুমার খুৎবার অবস্থায় খলিফা উমর
(রা.) হঠাৎ করে এরূপ অসংলগ্ন বাক্য উচ্চারণ করায়
উপস্থিত সবাই অবাক বিস্মিত।
খলিফা যথারীতি তাঁর খুৎবা পাঠ করতে থাকেন।
‘ইয়া সারিয়া! আল জাবাল- খুৎবার এ অপ্রাসঙ্গিক অংশটি যুগপৎভাবে প্রতিধ্বনিতহতে থাকে।
অন্যদিকে একই সময় ইরাকের দূরবর্তী স্থানে নেহাবন্দে যেখানে মুসলিম বাহিনীর সেনাপতি সারিয়া অদৃশ্য কণ্ঠে রহস্যময় বাক্যটি নিজ কানে শ্রবণ করেন।
দুইটি বাক্য কোথা থেকে কে উচ্চারণ করেছেন, এ কথা ভেবে তিনি রীতিমত হতভম্ব হয়ে পড়েন।
খুৎবার মাঝে হঠাৎ খলিফার অদ্ভুত বাক্য উচ্চারণ কেন, কারো সাহস হচ্ছে না খলিফাকে জিজ্ঞাসা করতে।
খুৎবা ও নামাজ শেষে মসজিদে উপস্থিত অনেকের মধ্যে বিষয়টি গুঞ্জন করতে থাকে।
হযরত ওমর (রা.) এর সাথে অন্তরঙ্গ ছিল হযরত আবদুর রহমান ইবনে আওফ (রা.) এর সাথে।
খোলামেলা আলোচনা করতেন তিনি খলিফার সাথে।
তিনি অসংকোচে খলিফাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আজ
আপনি খুৎবার মধ্যে অসংলগ্নভাবে ইয়া সারিয়া! আল
জাবাল (দুই কিংবা তিনবার) উচ্চারণ করলেন- কেন?
জবাবে খলিফা একটি সৈন্য বাহিনীর কথা উল্লেখ
করলেন। যারা নেহাবন্দে জিহাদে লিপ্ত, এ বাহিনীর
সেনাপতি সারিয়া। তিনি বলেন,
আমি দেখেছি সারিয়া একটি পর্বতের পাশে লড়ছেন।
অথচ, তিনি জানেন না যে, সম্মুখ এবং পেছন
থেকে অগ্রসর হয়ে শত্রু বাহিনী তাকে ঘিরে ফেলার
উপক্রম করেছে। এ শোচনীয় অবস্থা দেখে আমি বিচলিত
হয়ে পড়ি, আমি স্থির থাকতে না পেরে আওয়াজ
দিতে থাকি হে সারিয়া পর্বতের সাথে মিলে যাও।
হে সারিয়া পর্বতের সাথে মিলে যাও।
নেহাবন্দের রণক্ষেত্র থেকে বেশকিছুদিন পর কাসেদ
মদীনায় আগমন করেন এবং যুদ্ধের বিবরণ দিতে থাকেন
এবং পূর্ণ ঘটনা ব্যক্ত করেন। কাসেদ জানান, আমরা যখন
যুদ্ধে লিপ্ত তখন হঠাৎ একটি অদৃশ্য কণ্ঠ শোনা গেল,
ইয়া সারিয়া! আল জাবাল। আওয়াজটি শ্রবণ করা মাত্র
আমরা পর্বতের সাথে মিলে যাই এবং আমাদের বিজয়
সূচিত হয়। ইমাম জালাল উদ্দীন সুয়ূতী (রা.) তাঁর
বিখ্যাত ‘তারিখুল খোলাফা’ গ্রন্থে ঘটনাটি বিভিন্নভাবে বর্ণনা করেছেন।
Nothing mystic in ISLAM? ?
(collected)
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem