কয়েকজন ফেরেশতা মানব আকৃতিতে হযরত ইব্রাহীম (আ.) এর বাড়ীতে আসেন
হযরত ইব্রাহীম (আ.) তাদের আপ্যায়নের জন্য ভুনা গোশত বা কাবাব পরিবেশন করেন
কিন্তু মানবরুপী ফেরেশতারা খাবার গ্রহণ করলেন না ফলে ইব্রাহীম (আ.) তাদের প্রতি সন্দিহান হলেন এবং উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লেন
এ অবস্থায় ফেরেশতারা তাদের পরিচয় জ্ঞাপন করে তাদের আগমনের দুটো উদ্দেশ্য
অর্থাৎ হযরত ইব্রাহীমের সন্তান লাভের সুসংবাদ ও কওমে লুতের উপর গযব নাজিলের খবর বর্ণনা করলেন
ফেরেশতাদের পরিচয় এবং আল্লাহর পক্ষ থেকে সুসংবাদ জানার পর হযরত ইব্রাহীম (আ.) আশ্বস্ত হলেন এবং লুত (আ.) এর সম্প্রদায়ের ওপর ঐশী শাস্তি বা গযব নাযিলের বিষয় নিয়ে তিনি ফেরেশতাদের সাথে বিতর্কে লিপ্ত হলেন
তিনি ফেরেশতাদের এটা বোঝাতে চাইলেন কওমে লুতকে ধ্বংস করা হলে সেখানে বসবাসরত কিছু ভালো মানুষ এবং আল্লাহর নবী হযরত লুত (আ.) ও তো নিহত হবেন
ইব্রাহীম (আঃ) বললেন, এ জনপদে তো লুত(আঃ) রয়েছে
ওরা বললো, সেখানে কারা আছে তা আমরা ভালো জানি
আমরাতো লুতকে ও তার পরিজনবর্গকে রক্ষা করবই
হযরত ইব্রাহীম(আ.) ফেরেশতাদের কাছ থেকে নিজের জন্য সুসংবাদ লাভ করার পরও কওমে লুতের পরিণতির ব্যাপারে নির্লিপ্ত থাকতে পারেননি
একজন মুমিন মুসলমান নিজের সুদিনেও অন্যের ব্যাপারে উদাসীন হতে পারেন না
'অতঃপর যখন ইব্রাহীমের ভীতি দূরীভূত হলো এবং তার নিকট সুসংবাদ এল তখন সে লুতের সম্প্রদায়ের সম্বন্ধে আমার প্রেরিত ফেরেশতাদের সাথে বাদানুবাদ করতে লাগলো। ইব্রাহীম তো অবশ্যই সহনশীল, কোমল হৃদয় এবং সর্বাবস্থায় আল্লাহমুখী ছিলেন।' -সূরা হুদ!
(collected)
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem