আজ
জীবনটা পচে পান্তাভাত,
হাসির হয়েছে হাজতবাস,
আনন্দের আমৃত্যু বনবাস।
অথচ মরণ শয্যায়
পেন্তীর মা হাঁকে
"কই রে হতভাগী তিন্নি,
তিলক কোথায়? তিলক কোথায় আমার? "
মরতে মরতে মুমূর্ষ গফুর মিঞার হুঙ্কার-
"ওরে নরাধম পোলা
নামাজ পাঠ না করলে
জাহান্নামে যাবি তুই। "
গিন্নির গাল টিপে লাজুক হেসে
"গোঁফে তা" সহ নগেন মাস্টারের হতাশা-
"রাস্তা ঘাটে চুমু?
দেশটা উচ্ছন্নে গেলো গো নর্মদা
দেশটা উচ্ছন্নে গেলো! "
ওহে পেন্তীর মা,
তুমি কি জানো
তিলক বিহীন হয়েও ধার্মিক হওয়া যায় ?
ওহে গফুর মিঞা,
তুমি কি জানো
কেবল মানুষকে ভালোবেসেও
জাহান্নমের পথে কাঁটা দেওয়া যায়?
তুমি শালা নগেন মাস্টার
তোমার চৌদ্দপুরুষের চৌষট্টিপুরুষ সহ
যুগযুগ ধরে কেবল
ঘোমটার নীচে খ্যামটা নাচ নেচে গেলে!
তোমার ভারতবর্ষ তো
বিগত সহস্র বছর ধরে রাস্তায় চুমু দেয় নি।
তবুও দ্রৌপদীদের বস্ত্র হরণ কেন?
নির্ভয়ার ধর্ষণে মৃত্যু কেন?
তোমাদের ভদ্দরমুখো মন্ত্রী
নাবালিকা ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত কেন?
প্রজার ঘরে
রাজার চুরি কেন?
ওহে মুখপোড়া মাস্টার
কতদিন চলবে
তোমাদের ভদ্দরলোকদের
ঘোমটার নীচে খ্যামটাবাজি?
কতদিন চলবে
তোমাদের অধর্ম লোভ হিংসার
ধর্মের নামে মামদোবাজি?
মানুষ নিতান্ত নিরীহ ছারপোকা
তাই তারা
তোমাদের নপুংসক অন্ডকোষে
বিষাক্ত কামড় এখনো দেয় নি!
কিন্তু মানুষ যেদিন জাগবে
সেদিন তারা
তোমাদের অন্ডকোষ ছিঁড়ে ছিঁড়ে
শেয়াল কুত্তাকে খাওয়াবে।
হারামজাদা পন্ডিতরা অন্ধ
লোভ আর স্বার্থের "ছানিতে"।
হতভাগ্য দরিদ্র্যরা অন্ধ
অশিক্ষা অনাহারের "ছানিতে"।
অন্ধ। সব শালা অন্ধ আজ।
কে দেখবে?
কোন হারামজাদার বুকে
এমন কলিজা কি আছে
যে দেখতে চায়
আপন আত্মহত্যা?
আপন প্রজাতির আত্মহত্যা?
ঝাঁটা মারো শালাদেরকে। ঝাঁটা মারো।
© অরুণ মাজী
Painting: Nicolae Grigorescu
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem