কেউ তো একটু চা খেতে ডাকুক।
নাহঃ নাহঃ দুধ দিতে হবে না
চিনি দিতে হবে না।
চায়ে, চা-ও দিতে হবে না।
ভাঙা একটা কাপে
নর্দমার জল সহ
হাসি একটু গুলে দিলেই হবে।
আড়চোখে চেয়ে চেয়ে
জবা রাঙা ঠোঁটে ফুঁ দিতে দিতে
কাপটা বাড়িয়ে দিলেই হবে।
ভালো আছি কিনা
কেউ তো একটু জিজ্ঞেস করুক।
নাহঃ নাহঃ প্রতিদিন জিজ্ঞেস করতে হবে না।
কোন এক বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যায়
একাকী বারান্দায়
লক্ষ্যহীন চোখ
আনমনে উদ্দেশ্যহীন ভাবে চেয়ে রইলে
কেউ তো একটু জিজ্ঞেস করুক-
"আজ এতো আনমনা কেন?
ভালো আছো তো? "
কেউ তো একটু নিরাময় দিক।
প্রেমহীন এই পরিত্যক্ত বুকে
কেউ তো একটু নিরাময় দিক।
নাহঃ নাহঃ ঠোঁটের স্পর্শ দিতে হবে না
বুকের কোমল স্পর্শও না।
কাঁচের চুঁড়িগুলো কেবল
কানের কাছে ঝমঝম করে বাজিয়ে
হুকুম করুক-
"দিতে পারো এমন রামধনু রঙ চুঁড়ি? "
দিব্যি দিয়ে বলছি
সাতজন্ম সাতমৃত্যু
নরক যন্ত্রণা ভোগ করে হলেও
জোগাড় করবো সেই রামধনু রঙ চুঁড়ি।
কেউ তো একবার
একটু আড়চোখে দেখুক।
কালো চোখে স্বপ্ন এঁকে
কেউ তো একটু আড়চোখে দেখুক।
নাহঃ নাহঃ প্রতিদিন দেখতে হবে না।
নিঃসঙ্গ বুকের যন্ত্রণায়
মৃত্যুকে যখন কাছের মনে হয়
তখন কেউ তো একটু
আড়চোখে দেখুক।
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem
অসাধরন কবিতা স্যার,