পৃথিবী এখন নির্জন, নিষ্প্রদীপ
প্রকৃতি নিশ্চিন্ত নিদ্রায় নিজ বাসায়!
আধুনিক নারী সাহসী পদক্ষেপ
করেছে। আজ নিতান্তই নিরুপায় হয়ে
দুঃস্বপ্ন ঘেরা রাতের শহরে
সুরক্ষার ফানুস চড়ে বসে। আড়ালে
ফাঁদ পেতে হিংস্র নেকড়ে
তখন শান দেয় তার দৃষ্টি, নখ, দাঁত।
জনা কয়েক ক্ষুধার্ত শিকারী
বনাম একা শিকারের প্রাণপণ লড়াই
চলেছে। মুক্তির পথ রুদ্ধ।
ব্যর্থ কত-শত অনুরোধ, দয়া-প্রার্থনা!
আমি দেখেছি দর্পণে সভ্যতার নগ্ন রূপ
ঝাপসা দুই চোখে আজ বাংলার মুখ।
এক মাসে উনিশবার কলঙ্কিত পৌরুষ তোমার
অস্বস্তি অসহ্য হ'লে, 'সাজানো ঘটনা' বলে -
মুখ ফিরিয়ে, এইভাবে, দায়িত্ব এড়িয়ে
প্রকারান্তে মদত করে চলে
ধর্ষক সমাজ, দর্শক পুলিশ-প্রশাসন।
রাজনীতির রঙীন মঞ্চে ফিকে প্রতিশ্রুতির ঢল
আমরা-ওরা মেরুকরণের নীচ সমীকরণ সকল।
ঘোর অমাবস্যা: এখানে এখনও কাটেনি
কুয়াশার চাদরে ঢাকা ওই আমার আকাশ।
ভারী শরীর ঠেলে, চোখে আগুন জ্বেলে
আঁধার চিরে চলেছে অশক্ত প্রতিবাদী কন্ঠ।
খবরের শিরোনামের গুরুত্ব
ফুরায়। রাজপথে মোমবাতি মিছিলের অর্থ
চাপা পড়ে যায় প্রতি মুহুর্ত
এক নতুন নির্যাতনের সংবাদ তলে।
আগামী উৎসবের বিপ্লবী রং-তুলি সাথে
মিছিল, অবরোধে, হাতে-হাতে ব্যানার, স্লোগান
স্তব্ধ শহরে চলে ক্ষণিকের যাত্রা-পালা।
এইপ্রকারে দিন-মাস-বছর ঘুরে ফেরে -
অভাবের সংসারে, প্রচারের আড়ালে,
রক্তাক্ত স্মৃতি বয়ে একা সংগ্রাম লড়ে
সেই নির্ভয়ারা হিংস্র নেকড়ের সঙ্গে প্রাণপণে।
(First composed: February,2015)
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem