তোমার জীবনে কি ঘটলো, তা তোমার জীবনের গতিপথ ঠিক করে না। বরং তুমি সেই ঘটনাকে, নিজের জীবনে কিভাবে প্রয়োগ করলে, সেটাই তোমার জীবনের গন্তব্য ঠিক করে।
দুর্ঘটনা আর দুঃসংবাদ জীবনে আসবেই। তুমি যদি পচা হিজল কাঠ দিয়ে তৈরী হও, যন্ত্রণায় পুড়লে- তোমার থেকে পচা পচা দুর্গন্ধ বের হবে। আর তুমি যদি চন্দন কাঠ দিয়ে তৈরী হও, তুমি যন্ত্রণায় পুড়লে- চন্দনের সুগন্ধ বের হবে।
কেউ কি জানো- কি অসম্ভব যন্ত্রণা রবি ঠাকুর সহ্য করেছিলেন? একের পর এক সন্তান আর আত্মীয়ের মৃত্যু, ওনাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছিলো। কিন্তু উনি চন্দন কাঠ দিয়ে তৈরী ছিলেন। তাই উনি যখন পুড়েছিলেন- তা থেকে চন্দনের সুগন্ধ বেরিয়েছিলো। ওনার কবিতা আর গান- চন্দনের সেই সুগন্ধ!
চন্দন কাঠ হও হে মানুষ, চন্দন কাঠ হও। পচা হিজল কাঠ হয়ে, চন্দনকে হিংসে করে, রাতের ঘুম ত্যাগ করো না। একটু একটু করে- ত্যাগ শেখো, ক্ষমা শেখো, অধ্যাবসায় শেখো, সাহস শেখো। দেখবে- তুমিও একদিন হিজল কাঠ থেকে, চন্দন কাঠ হয়ে গেছো।
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem