হে নারী,
ঘোমটা ঢেকে সহস্র বছর তো কাটালে।
পেরেছো নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করতে?
তবে ধর্ষিত নির্যাতিত কেন তুমি?
দূর্গা বা কালীর সাধনা, তবে কেন করো তুমি?
কি শিখছো তার রুদ্র নয়ন আর হাতের খড়্গ থেকে?
তোমরা না পারো ভারতীয় দর্শনকে শ্রদ্ধা করতে।
না পারো তোমাদের পূর্বপুরুষ ঋষিদের শ্রদ্ধা করতে।
না পারো গার্গী মৈত্রেয়ী লক্ষীবাঈকে দেখে উদ্বুদ্ধ হতে।
ঘোমটার আড়ালে অনেক ঢেকেছো পোড়ামুখ।
এবার হাতে নাও কুড়ুল গাঁইতি
চোখে আনো আগুন দৃষ্টি।
বীরত্বের সাধনা করো।
অলস স্থূলকায়া হয়ে ঘোমটার আড়ালে থেকো না।
ধনুক বিদ্যা শেখো
অস্ত্রচালনা শেখো
ক্যারাটে শেখো
সকালে ৫ মাইল দৌড়তে যাও
বিকেলে মুগর ভাঁজো।
দুর্বল জননীর দুর্বল সন্তান হয়।
দুর্বল সন্তানরা, দুর্বল কাপুরুষ হয়।
দুর্বল কাপুরুষরাই- নারীকে অপমান করে, নির্যাতন করে।
তারাই কেবল স্বার্থপর চোর ডাকাত হীন দ্বিচারী হয়।
ভারত দুর্বল কারন তার নারী জাতি দুর্বল।
ভারত পঙ্গু তার কারন তার নারী জাতি পঙ্গু।
দুর্বল জননী হয়ে, কাপুরুষেরই যদি জন্ম দেবে
তাহলে ধর্ষিত আর নির্যাতিত হয়ে মরা কান্না কেঁদো না।
ধর্ষকদের বুকে যদি
কুড়ুল হানতে না পারো,
তোমাদের পোড়ামুখ আর দেখিও না।
© অরুণ মাজী
This poem has not been translated into any other language yet.
I would like to translate this poem